শিরোনাম:
বিদ্যালয়ে পিয়ন থাকলেও শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে মাঠ পরিস্কার করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ফরিদগঞ্জে ইংলিশ ডোরের উদ্বোধন ফরিদগঞ্জে ফারিসা’র নয়া কমিটি সভাপতি মোতাহার হোসেন, সম্পাদক মহেশ শর্মা চাঁদপুরে এসএ টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন চাঁদপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অসহায় শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র উপহার দিল চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স মতলব উত্তরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামী গ্রেফতার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিক্রি বাড়াতে খুশি ক্ষূদ্র উদ্যোক্তারা রূপগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের অভিষেক ও পরিচিতি সভা

চাঁদপুরের মহামায়ায় হত্যার হুমকি দেওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের

reporter / ১৪৯ ভিউ
আপডেট : শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদ ইউনিয়নের মহমায়া পশ্চিম বাজার রাজার গাঁও রোড সংলগ্ন টাওয়ার খিল গ্রামে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বাড়ী ঘেঁষে অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন গরুর খামার গড়ে তুলে প্রতিবেশীদের দূর্ভোগে ফেলেছেন প্রভাবশালী হেলাল বেপারী। তার গরুর খামারের গরুর মলমূত্রের গন্ধে প্রতিবেশীরা দূর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন।৫ এপ্রিল মঙ্গলবার এমন অভিযোগে দুপুর আড়াইটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুর মলমূত্রের দূর্গন্ধের সত্যতা পায় পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের টিম। আর তদন্তে ওই টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে সাথেই সরকারি কর্মকর্তা জেনেও চরম দুর্ব্যবহার ও উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি করে গুরুর খামারি প্রভাবশালী হেলাল বেপারী গং। আর এই দূর্গন্ধে সবচেয়ে বেশি অতিষ্ট সুলতান হাজীর বাড়ীতে বসবাসকারীগণ কেন পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেয়ায় তাদের ওপরও চলছে মানসিক টর্চারিং।সুলতান হাজী বাড়ীর ভাড়াটিয়া রুমা ও নাসরিন নামের দুই গৃহবধূ জানান, রাস্তার পাশে বলে এই বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু এসে গরুর খামার থেকে আসা দূর্গন্ধে খুব যন্ত্রণায় আছি। গরুর খামার এখান থেকে না সরালে হয়ত দ্রুত বাসা পরিবর্তন করে নিবো।সুলতান হাজীর বাড়ীর মোঃ হারুন রশীদ বলেন, আমাদের বাসায় এই গরুর খামার থেকে আসা গন্ধের কারনে কেউ উঠতে চায় না। আমরা আপত্তি করা সত্ত্বেও ওই হেলাল বেপারী গং জোড়পূর্বক এই গরুর খামারটি করেছে। আমি পরিবেশ অধিদপ্তরে বাদী হয়ে অভিযোগ দেওয়ায় আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে জানিয়েছে হেলাল বেপারীর ভাগিনা ফরহাদ। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। তাই প্রশাসনের কাছে এর একটা সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি।ঘটনা প্রসঙ্গে হেলাল বেপারীর ভাগিনা আরাফাত বলেন, আমার মামা হউক আর যাই হউক। তিনি এই গরুর খামার দিয়ে মানুষের প্রতি অন্যায় করছেন। এটার একটা সমাধান হওয়া প্রয়োজন।এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে ফরহাদ কে পাওয়া না গেলেও গরুর খামাড়ী হেলাল বেপারী পূর্বেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খামারে গরু থাকলে গন্ধ ত হবেই। আমার জায়গায় আমি গরুর খামার করছি। এখানে কারো কোন অভিযোগে আমার কিছু যায় আসে না।এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রার্ণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মুকবুল হোসেন কে অবহিত করলে তিনি বলেন, দ্রুত আমরা মহামায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো। এরপর সমস্যা সমাধানে আমাদের যা করনীয় প্রয়োজন মনে করবো সেটাই করা হবে।এদিকে দুপুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত প্রসঙ্গে চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর উত্তম কুমার কর্মকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে মহামায়া এলাকায় তদন্তে গেলে ফরহাদ নামের জনৈক লোক আমাদের অবাদ তথ্য প্রাপ্তিতে বাঁধা দেওয়াসহ অশালীন এবং দুর্ব্যবহার করে। আমরা দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।বিষয়টি চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আবদুর রশীদ কে অবগত করলে তিনি বলেন, ফরহাদ এবং হেলাল বেপারী গং যতশক্তিশালীই হউক তারা আইনের উর্দ্ধে নয়। সরকারি কর্মকর্তার সাথে দুর্ব্যবহার এবং অভিযোগদাতাকে প্রাণ নাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকলে তা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাদী হারুনুর রশিদ  গত ৭ এপ্রিল বিবাদি হুমকি দাতা বিবাদী ফরহান বেপারি ও হেলাল বেপারির বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগ বলা হয়েছে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ হারুনুর রশিদ (৫০), পিতা- হাজী মোঃ সুলতান বেপারী, সাং- টাহরখীল, বেপারী বাড়ী, থানা ও জেলা-চাঁদপুর থানায় উপস্থিত হইয়া বিবাদীর বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, বিবাদীরা আমাদের পাশাপাশি বাসিন্দা। বিবাদীরা পরস্পর নিকট আত্মীয়। বিবাদীরা অত্যাচারী, উশৃঙ্খল, লাঠিয়াল, পরসম্পদ লোভী, জুলুমবাজ, এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদীরা পূর্বে থেকে জায়গা সম্পত্তি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়া শত্রুতা পোষণ করিয়া আসিতেছে। বিবাদীরা আমার বসত ঘরের পাশে গরুর খামার দিয়ে আমার বাড়ীর পরিবেশ নষ্ট করে আসিতেছে। বিবাদীর গুরুত খামারে সব ময়লা আবর্জনা আমার বাড়ীর পাশে রাখে। যাহার ফলে আমাদের বাড়ী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। আমি নিরুপায় হইয়া বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর কে জানাইলে তাহারা বর্ণিত ঘটনাস্থলে উক্ত বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে আসিলে বিবাদীরা পরিবেশ অধিদপ্তর এর লোকজনের সাথে অশ্লীল অচরন করা সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে। আমি বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন কে জানাইলে তাহার সালিশ দরবারের মাধ্যেমে বিবাদীদের কে সতর্ক করে দিলে ও বিবাদীরা কারো কথার কোন কর্ণপাত করে না। ঘটনার তারিখ ও সময়ে বর্ণিক ঘটনাস্থলে বিবাদীদের গরুর খামারের ময়লা আমার বাড়ীর দিকে আসিলে আমি প্রতিবাদ করিলে বিবাদীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া, লাঠিসোঠা নিয়া মারধর করার জন্য উদ্ধৃত্ব হয়। আমার ডাক চিৎকারে সাক্ষীরা সহ আশপারে লোকজন আসিয়া বিবাদীদের কবল হইতে আমাকে রক্ষা করে। বিবাদীরা এই সময় বলিতে থাকে যে, “আমি বিবাদীদের কে গরুর খামার এর বিষয়ে কোন কিছু বলিলে এবং উক্ত বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদের কে খুন জখম করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে। বিবাদীদের মাধ্যেমে ভবিষ্যতে আমার ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা সহ শান্তি ভঙ্গের আশংকা। বিদ্যমান। আমি বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন কে জানাইয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল। এতে বাদী ভুক্ততভোগী হারুনুররশিদ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য পুলিশের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে চাঁঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা শিকার করেন ও তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।


এই বিভাগের আরও খবর