রবিবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পূর্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বলেন, আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কারণ রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। প্রতিবছরই এদিনটি জাকজমক ভাবে উদযাপিত করা হয়। করোনার কারণে গত ২ বছর আমরা জাঁকজমক ভাবে সশরিরে উদাযাপন করতে পারি নাই। আজকের প্রতিপাদ্য মানবতা সঙ্কট ও রবীন্দ্রনাথ। এ সম্পর্কে জানতে হলে তাঁর জীবনি ও কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে পড়াটা অনেক জরুরি। তিনি প্রাচুর্যের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেও মানুষের সাথে সম্পর্কে বিচ্যুত করতে পারে নি।
জেলা প্রশাসক বলেন, তিনি লিখেছেন ২ বিঘা জমি। একজন জমিদার হয়ে তিনি এ ২ বিঘা জমি লিখতে পারেন না। তিনি মহামানব বা মাটির মানুষ বিধায় তিনি এ গল্প লিখেছিলেন। তিনি পন-পথা নিয়েও লিখেছিলেন। পন কতটা কষ্টের তিনি তা বুঝিয়ে তুলেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের শিখনীয় রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতিকে খুব সুন্দরভাবে নিজের লেখা, গানে, কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর অনেক লেখা নিয়ে বিশ্বের অনেক গবেষকরা গবেষণা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে বুঝতে হলে রবীন্দ্রনাথকে জানতে হবে। আমার চোখে তিনি একজন মহামানব। তিনি মানুষের কল্যানের, মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করেছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমতিয়াজ হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় ভৌমিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার।
সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু’র সঞ্চালনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. সাইদুজ্জামান।
আলোচনা সভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের নিয়ে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।