শিরোনাম:
কচুয়ায় তারুণ্যের উৎসব জাতীয় গোল্ডকাপ বালক অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত কচুয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন মতলবের মেহরনে মাদক বিরোধী ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত চাঁদপুরে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী আহত, কিশোর নিহত মতলবের উদ্দমদী ওয়েফারার কমপ্লেক্সের মাহফিল সম্পন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ৩৬ জুলাই ঘিরে তরুণদের আগ্রহ কচুয়ার সাচারে আল শিফা হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য লিফটের বিতরন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ফরিদগঞ্জে রাসূল (সাঃ) অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ফরিদগঞ্জে একই কর্মস্থলে ২২ বছর পর বদলী এবার বদলী ঠেকাতে কাউসারের দৌড়ঝাঁপ

reporter / ১৭৫ ভিউ
আপডেট : বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের (পদাবিক) মাঠ সংগঠক কাউসার আহমেদ দির্ঘ ২২ বছর এই উপজেলায় চাকরি করছেন। উপজেলা প্রশাসনে নিজেকে সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে থাকেন।  সম্প্রতি তাকে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট উপজেলায় বদলী করা হয়।  কিন্তু  এই মাঠ সংগঠক এবার ঢাকায় দৌড়ঝাঁপ করছেন বদলী ঠেকাতে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায় তিনি ২০০০ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পল্লি দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের( পদাবিক) মাঠ সংগঠক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি নিজের কাজের বাইরে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছাকাছি মিশে তাদের আস্থাশীল হয়ে উঠেন। আর এই সুযোগে তিনি গত ২০ বছর ধরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের একক ক্ষমতার কেন্দ্রতে চলে আসেন। ব্যাক্তিগত ছাত্র  জীবনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, আর ২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে তিনি হয়ে উঠেন বিএনপি ও জামাত এর উপজেলা  পর্যায়ে প্রশাসনের প্রধান সমন্বয়কারী।
 এই সুযোগে তিনি ইউএনওদের মাধ্যমে  বাগিয়ে নেন ট্যাগ অফিসারের পদ, এস এসসি, এইসএসসি পরিক্ষার পরিদর্শক, ইউএনও এর মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন তদন্ত কাজের গোপন রিপোর্ট প্রদানের কর্মকর্তা। এই সুযোগে গড়ে তোলেন   ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির সমর্থন ঠিকাদারদের সাথে জড়িত হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান । যা উপজেলার সকল সচেতন নাগরিকের জানা।
 খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজের পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের মাঠ সংগঠক হিসেবে নিজের কাজ না করে তিনি সারাদিন ইউএনও অফিসে বসে থাকতেন, উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা তার সাথে আলাপ না করলে বিভিন্ন সময় বিপদে পড়তেন, হতেন ইউএনওদের বিরাগভাজন। তার খবরদারী চলে উপজেলার সকল সেক্টরে, কর্মকর্তারা টঠস্থ থাকতো তার ভয়ে। সম্প্রতি দুই বছর আগে একজন দক্ষ উপজেলা প্রকৌশলী কে তার রোসানলে পড়ে রাঙ্গামাটির লঙ্গদুতে বদলী হতে হয়। সরকারের মডেল মসজিদ নির্মাণে বিতর্কিত জায়গায় ভূমি অধিগ্রহণে আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমরা তো জানি তিনি সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, গত কয়েক বছরে আমরা দেখলাম ইউএনও অফিসে সকল বিষয়ে উনার খবরদারী, কোন অফিসার ট্যাগ অফিসার হবে, কে হবে না, কোন কর্মকর্তা কোন বিষয়টি দেখবেন তা তো তিনিই ঠিক করেন। আমি দুইজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অধিনে চাকরি করলাম দুই জনইতো উনার বাইরে গিয়ে কিছু করেননি। তিনি একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে কি করে ট্যাগ অফিসার হন এটা মাথায় আসেনা।
মাঠ সংগঠক কাউসার আহমেদ এই বিষয়ে কোন কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন, তিনি বলেন আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। তবে তিনি বদলির আদেশ পাননি বলে জানান।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান ভূইয়া এই বিষয়ে বলেন, আমাদের পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের (পদাবিক) এর মাঠ সংগঠক, তিনি সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নন। এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তিনি পদাবিকর কয়েকটি দল পরিচালনা করেন, সেখানে কিছু খেলাপি আছে। এর বাইরে তিনি উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে সময় দেন। এতো অভিযোগ আমার জানা নেই বলে জানান তিনি। আমরা উনাকে রিলিজ দিয়েছি তিনি যাচ্ছে না কেনো আমি জানিনা।
জেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ডিডি মোকাব্বের হোসেন এই বিষয়ে বলেন, বদলীর চিঠি এসেছে আমরা তাকে পিডি অফিসে কথা বলে ছেড়ে দিবো। বদলী হলে তো আর থাকার সুযোগ নেই। তবে কতৃপক্ষ চাইলে সে থাকবে। তবে অবশ্যই এক কর্মস্থলে ২২ বছর থাকাটা সমিচিন নয় বলে জানান তিনি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমুন্নেসা জানান, আমি নতুন এসেছি। খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখব।


এই বিভাগের আরও খবর