শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে ঘুরছেন বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে চাঁদপুরের ৮ উপজেলা সহ দেশের ৪৯৫ টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারন চাঁদপুর জেলার ৭টি সহ সারাদেশে ৩২৩ পৌরসভার মেয়র অপসারণ ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত ২০ কচুয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটেছে সুন্দরবন -১৬ লঞ্চের, নারী নিখোঁজ ষোলঘর আদর্শ উবি’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডঃ হুমায়ূন কবির সুমন কচুয়ায় নবযোগদানকৃত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শিক্ষক সমিতি শুভেচ্ছা মতলব উত্তরে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা উপাদী উত্তর ইউনিয়নে দীপু চৌধুরীর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া

ফরিদগঞ্জে রাতের আঁধারে পুকুর সেচ দিয়ে মাছ বিক্রির অভিযোগ

reporter / ১৬৩ ভিউ
আপডেট : বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। মৎস্য খামারি ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন, এই সুযোগে রাতের আঁধারে তার চাষকৃত পুকুর সেঁচ দিয়ে সব মাছ বিক্রি করে দিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। শুধু তাই নয় মাছ বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় মৎস্য খামারির মেয়েকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
এই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মধ্য ধানুয়া গ্রামে। এ বিষয়ে সুবিচার চেয়ে অসহায় মৎস্য খামারী মো. ইসমাইল মিজি (৫৫) ফরিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, ইসমাইল মিজি দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাড়ির এজমালি পুকুর ইজারা নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। বেশ কয়েকদিন যাবত তিনি বার্ধক্যজনিত নানান অসুখে অনেকটাই শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন।
গত ১৭ এপ্রিল খামারি ইসমাইল মিজি চিকিৎসার জন্য ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি হন।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশি তাজুল ইসলাম মিজি রাতে আঁধারে পুরো পুকুরটি সেঁচ দিয়ে সব মাছ ধরে বিক্রি করে দেয়। ঘুম থেকে উঠে অসহায় ইসমাইল মিজির মেয়ে সাথী বেগম তাদের কুকুরটি পানি এবং মাছশূণ্য দেখতে পায়। সাথী বেগম তার বাবার কষ্টার্জিত পুকুরে সব মাছ অন্যায়ভাবে বিক্রি করে দেয়াতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাজুল ইসলাম মিজি, তার পুত্র আঃ ছালাম মিজি, স্ত্রী আক্তার বেগম, সায়েদ মিজির পুত্র বিল্লাল হোসেন মিজি, স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, নাতি সাহাব উদ্দিন মিলে সাথী বেগমকে ব্যপক মারধর করে।
এ বিষয়ে মৎস্য খামারী ইসমাইল মিজির স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামী খুবই অসুস্থ্য। সেদিন তাকে নিয়ে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করাই। এই সুযোগে তাজুল ইসলাম মিজি তার ছেলে আঃ ছালাম মিজিসহ আমাদের পুকুর সেঁচ দিয়ে সব মাছ বিক্রি করে দেয়। আমরা মেয়ে প্রতিবাদ করলে তারে আমার মেয়েকে মারধর করে।
জেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকে। তার নাকি অনেক ক্ষমতা।
স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার দুলাল গাজী বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা জানি পুকুরের ইজারা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা আছে। কিন্তু তাজুল ইসলাম মিজি ঘাটলা করার কথা বলে পিনি কমাতে পুকুরের সেঁচ দেয়। কিস্তু সে প্রতারনা করে পুরো পানি সেঁচে সব মাছ বিক্রি করে দিয়েছে।
অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম মিজির আপন বড় ভাই শামসুল ইসলাম মিজি বলেন, আমার ভাই এবং ভাতিজাদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তারা আমাদের উপরেও অনেক অত্যাচার করেছে। আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার গাছ জোরপূর্বক কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা এই পরিবারটির অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে চাই।
এলাকার মুরুব্বি জহিরুল ইসলাম খান জানান, অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম এবং তার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ছেলে আঃ ছালাম জোর করে আমাদের জায়গা দখল করে রেখেছে। তারা পুরো গ্রামে ক্রাশ করছে বেড়াচ্ছে। ভয়ে কেউ তাদের প্রতিবাদ করতে পারে না।
এলাকার মুরুব্বি মো. দেলোয়ার হোসেন, আবুল বাশার, সোরাব খানসহ গ্রামবাসী জানান, অভিযুক্ত তাজুল ইসলামী মিজি এবং তার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ছেলের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তারা যখন ইচ্ছে যার পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে দেয়, কারও গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়, কারো জমি দখল করে নিয়ে যায়। তারা এই পরিবার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করেন।


এই বিভাগের আরও খবর