ফরিদগন্জে উদ্বুদ্ধকরণ সভা করেও কোন লাভ হয়নি।। ভোট কেন্দ্রে যায়নি নারীরা ভোটাররা

reporter / ২০৫ ভিউ
আপডেট : বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ভোট দেওয়া প্রত্যেক পূর্ণবয়স্ক মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের নারীরা পাঁচ দশক ধরে ভোট না দেওয়ায় পহেলা জানুয়ারী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত কলেজ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম নারী ভোটারদের ভোট  প্রদানে আগ্রহী করতে উদ্বুদ্ধকরণ সভা করেও কোন লাভ হয়নি।

এদিকে এবারের পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেনি। রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে দু-একজন সচেতন নারী ছাড়া কেউই আসেননি ভোটকেন্দ্রে। তাঁও ভোট দিয়েছেন চুপিসারে। তবে পুরুষ ভোটারের লাইন ছিল দীর্ঘ।

এই ইউনিয়নে ৯হাজার ৪৪ জন নারী ভোটার থাকলেও সেখানে ৯টি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ১৫-২০ নারীরা ভোট দেন এবং নারীরা উক্ত ইউনিয়নের ১নং নলঘোড়া ওয়ার্ডে ভোট দিলে গেলে প্রার্থীদের মাঝে বাকবিতন্ডা সৃস্টি হয়।

চরমান্দারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার খোরশেদ আলম জানান, এই কেন্দ্রে ৮০০ ভোটারের মধ্যে মাত্র দুজন নারী ভোট দিয়েছেন।

১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় দুই শতাধীক নারী এই ইউনিয়নে ভোট দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর মাওলানা মোহাম্মদ হাছান মওদুদ নামে জৈনপুরের পীর এই ফতোয়া জারি করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তৎকালিন সময়ে তিনি দ্বাবি করেন, মেয়েদের ভোট দেয়া নাজায়েজ কাজ। এরপর ১০টি জাতীয় এবং স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেননি নারীরা।

কথিত রয়েছে, প্রায় ৫০ বছর আগে ওই এলাকায় কলেরা প্রকোপ দেখা দেয়। এরপর ঐ এলাকায় তৎকালীন সময়ে জৌনপুর হুজুর নারীদের ভোট দিতে নিষেধ করেন। সেই থেকে এই ইউনিয়নের কোনো নারী আর ভোট দেন না।

জানাযায়, মাওলানা মোহাম্মদ হাছান মওদুদ নামে জৈনপুরের পীর ১৯৮১ সালে ভারতে মৃত্যু বরন করেন।


এই বিভাগের আরও খবর