নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল ৮ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন দিবস একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালে
স্বাধীনতা লাভ করার পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি সারা বিশ্ব বিবেকের তাড়নায় পাকিস্তান থেকে মুক্তি লাভ করে তারপরে ১০ জানুয়ারি মাতৃভূমি বাংলাদেশে দেশ মাতৃকার টানে চলে আসেন। বন্দী থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে শুধু মৃত্যু ভয় নয় কবর ও খোড়া হয়েছিল। বহু লোভ লালসা – প্রলোভন দেখানো হয়েছে। সকল কিছুকে তুচ্ছ করে তিঁনি মাথা নিচু করেনি।
বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রেরণা, তাঁর আদর্শ হচ্ছে বিশ্বাস, বেঁচে থাকার বিশ্বাস
বঙ্গবন্ধু আমাদের ঠিকানা দিয়েছে, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত দেশে পরিনত হবে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় এই দিনটি সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে স্বরণ করবো
আজকের মত প্রস্তুতি মুলতবি টেনে আজ রবিবার বিকাল ৩ টায় যৌথ সভায় উপস্থিত থাকার আহবান জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইন্জিনিয়ার আঃ রব ভূইয়া, আবদুর রশিদ সর্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ আখন্দ , সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূইয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ রুহুল আমিন সরকার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিনয় ভূষণ মজুমদার,দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী এরশাদ মিয়াজি, পৌর আওয়ামী শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ মাঝি, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি আবদুল মালেক দেওয়ান, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রেনু বেগম।
সভায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় যথাক্রমে আগামীকাল ১০ জানুয়ারি সোমবার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দলীয় কার্যালয়ে সামনে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং বিকেলে আলোচনা সভা ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সকল কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে সফল করার আহবান জানান।