বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহিদ আটক

reporter / ৯৯ ভিউ
আপডেট : মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২  নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ কে  আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
নির্বাচন  চলাকালে একই ওয়ার্ডের প্রার্থীদের মাঝে  সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায়   সোমবার চাঁদপুর মডেল থানার ইন্টিলিজেন্স অফিসার এনামুল হক চৌধুরী তাকে আটক করেন।
চাঁদপুর শহরের ছৈয়াল বাড়ি রোড এলাকার ও নতুন বাজার অগ্রণী ব্যাংক সিনিয়র অফিসার এবং  প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর তপাদার বাদী হয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর নির্বাচনের দিন সকাল অনুমান ১১ টায় ৭৬ নং উত্তর বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন। ফুটবল  মার্কার মেম্বার প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে তার সমর্থক ৮০/৯০ জন ও মুরগ মার্কার প্রার্থীর ২০/৩০ জন সমর্থক বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে সরকারি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার বাধা প্রদান করে। তখন তারা আমাতের উপর মারমুখি আচরন করে। পরে আইন শৃঙ্গলা বাহিনী পরিস্হিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।তারা সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। কর্মকর্তাদের গায়ে হাত দেয়। ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর তপাদার বাদী হয়ে ১৩৪/ ১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৩৪ প্যানাল কোড মামলা  চাঁদপুর মডেল থানায় রুজু করে।
ওই মামলায় এতদিন বালিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহিদুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে থেকে ঢালিঘাট এলাকার তার বাড়ির পুকুর পারে থাকা ইউনিয়ন পরিষদের বেশ কিছু গাছ গত শুক্রবার কেটে ফেলে।চেয়ারম্যান রফিকুল্যা পাটোয়ারী জানতে পেরে তাকে পর দিন শনিবার গাছ গুলো পরিষদে জমা দিতে বললে তিনি শুক্রবার রাতেই সেই গাছ পরিষদে পাঠিয়ে দেন। শুধু গাছ কাটা নয় গত কিছুদিন আগে জাহিদ মেম্বার তার এলাকার সরকারি খাল দখল করে দোকান পাট পর্যন্ত নির্মান করেছেন। মাটি সমবায় সমিতির নামে সাধারন মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ক বছর আগে কোরবানির পশুর হাটে অবৈধ ভাবে পল্লী বিদ্যুতের খাম থেকে বিদ্যুত চুরি করে ব্যবহার করায় সেই মামলায় পর্যন্ত জেল খেটেছেন। চলতি বছরে জাটকা রক্ষায় জেলেদের বরাদ্ধকৃত সরকারি চাউল দেয়ার কথা বলে জেলেদের কাছ থেকে টোকেনের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেন। যা পরবর্তিতে মৎস্য বিভাগ।ও উপজেলা প্রসাশন তদন্তে সত্যতা খুজে পেয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর