তাওহিদ পাটোয়ারী মনিরঃ
মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের পুঠিয়া গ্রামের হবিবুল্যাহ হাবু প্রধানিয়া বাড়ির নজরুল ইসলাম টুলুর
বসতবাড়ি মেরামতে বাধা ও প্রাণনাসের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাজায়, নজরুল ইসলাম টুলু
নিজ বসতবাড়িতে ৫০ বছর যাবত বসবাস করছেন। গত ১০ মে তিনি তাঁর নিজ জায়গায় পুরনো ঘর ভেঙে নতুন করে ঘর তৈরি করার সময় তার মেঝ ভাই কলিমুল্লাহ কালু প্রধান বাধা প্রদান করেন।
সামাজিক ভাবে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মজিদসহ
এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এদের মধ্যে একটি সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে ঘটনাস্থলে আসেন, নজরুল ইসলাম টুলুকে নিজ বসত ঘরের জায়গাতে ঘর উঠাতে বলেন। কিন্তু তার মেজ ভাই কলিমুল্লাহ কালু তারপরও ঘর উঠাতে ঘোড় বিরোধিতা করেন।
গত ১৪ মে রোজ রবিবার কলিমুল্লাহ কালু প্রধান সমাজের গনমান্য ব্যাক্তি ও ইউপি সদস্য দের কথা অমান্য করে নজরুল ইসলাম টুলুর নামে মতলব দক্ষিণ থানায় মামলা করেন।
ঐ দিনেই কলিমুল্লাহ প্রধান বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর কোর্টে ১৪৫ নং ধারা মতে স্মারক নং ৮০৮, মামলা নং ৫৯৮/২০২৩ের মাধ্যমে নজরুল ইসলাম টেলুর বসত ঘর মেরামতের স্থগিতাদেশ নোটিশ পাঠিয়েছেন। আদালতের স্থগিত নোটিশ পেয়ে নজরুল ইসলামের টুলুর ছেলে শহিদুল ইসলাম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নতুন ঘর উঠাতে বিরত থাকেন।
সরেজমিনে জানা যায় নজরুল ইসলাম টুলু তার পূর্বের জায়গায় নিজ বসত বাড়িতে ঘর মেরামত করতে চাইলে কলিমুল্লাহ কালু প্রদান বাধা প্রধান করেন। এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্য আবদুল মজিদ এর কথাও অমান্য করেন।
৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মজিদ বলেন বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে নজরুল ইসলাম টেলুকে তার পূর্বের নিজ জায়গায় ঘর উঠাতে বলি, কিন্তু কলিমুল্লাহ কালু প্রধান বাধা প্রদান করে থানায় মামলা করেন।
নজরুল ইসলাম টুলুর ছেলে শহিদ বলেন সম্মানের ভয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘরের কাজ বন্ধ রেখেছি, কিন্তু বৃষ্টির মৌসুমে আসবাবপত্র বাহিরে এলোমেলো ভাবে পড়ে থাকার কারনে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, দিন ও রাতে আমাদের থাকা/বসবাস করতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের পরিবারের সদস্যরা এখন গৃহহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এর মধ্যেই চাচা-চাচী ও তাঁদের মেয়েরা আমাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলার হুমকি দিচ্ছে।
কলিমুল্লাহ কালু প্রধানের মেয়ে স্মৃতি জানান বৃষ্টির চালের পানি আমাদের জায়গায় পড়বে, আমাদের ক্ষতি হবে এবং আমাদের জায়গা চাচা জেঠাদের থেকে কম থাকায় আমার বাবা কলিমুল্লাহ প্রধান বাধা প্রধান করেন এবং মামলা করেন।