মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার একমাত্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ছেংগারচর মডেল উবি এর শিক্ষার্থীদের থেকে করোনার টিকা নিতে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে নিচ্ছে। এর সত্যতা স্বীকার করলেন খোদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমদ নিজেই।
১৩ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপরে করোনার টিকা দেয়া কালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমদের সাথে মুঠোফোনে কথাহলে তিনি জানান, আমাদের স্কুলে টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে এখানে আমাদের অনেক খরচ আছে। সেজন্যই আমরা আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছথেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে নিচ্ছি। এরচেয়ে বেশী নেয়ার অভিযোগ থাকলেও তিনি জানান, জনপ্রতি ৫০ টাকার বেশী নিচ্ছিনা। আর জনপ্রতি ৫০ টাকা করে নেয়ার বিষয়টি আমি উপজেলা একাডেমী সুপারভাইজার সাইফুল স্যারের সাথে আলোচনা করেই নিচ্ছি। ছেংগারচর স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১হাজার।
হিসেবমতে, টিকাদান কার্যক্রমে শুধু ছেংগারচর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই উত্তোলিত হচ্ছে ৫০ হাজার টাকার মতো। বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও সরকার শিক্ষার মান ধরে রাখার কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার লক্ষে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জরুরী ভিত্তিতে টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের টিকা দিলেও মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের টাকার বিনিময়ে টিকাদানের বিষয়ে অভিভাবক ও শিক্ষা সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উপজেলা একাডেমী সুপারভাইজার সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথাহলে তিনি বলেন, করোনার টিকায় টাকা নেয়ার বিষয়ে আমি কিছু বলিনি। খরচের টাকা তারা যেভাবে ম্যানেজ করতে পারে সেটা তাদের ব্যাপার। তবে কিছুক্ষন পর একাডেমী সুপারভাইজার প্রতিবেদককে ফোন ব্যাক করে বলেন, আমি প্রধান শিক্ষককে ফোন করে আপনার কাছে আমার নাম বলেছে কেন এমনটা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানায়, স্যার সাংবাদিককে আমি আপনার কথা বলিনি, আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কথা বলেছি। আমি বলেছি টাকার বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে আমার কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গণমাধ্যমের সাথে প্রধান শিক্ষক যে একাডেমী সুপারভাইজারের নামই বলেছেন তা কল রেকর্ড রয়েছে।
ছেংগারচর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় টাকার বিনিময়ে করোনার টিকা দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইযূম খান জানান, আপনার মাধ্যমে আমি অভিযোগ পেলাম। খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উল্লেখ্য এর আগে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ভাষান চন্দ্র কীর্তৃনীয়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যের করোনা টীকা বিক্রি করতো। তার বিষয়ে ও তখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।বরং তাকে উৎসাহিত করা হয়েছিলো প্রভাবশালীদের ক্ষমতা অপব্যবহার করে। অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে এক অভিভাবক বলেন, মতলব উত্তর উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে কিন্তু দেখার কেউ নাই।