মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
মতলব উত্তরে দীর্ঘদিন ধরে জাহাজ থেকে ডিজেল (কেরোসিন) পাচারের নেপথ্যে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। উপজেলার দশানী এলাকায় বিভিন্ন দেশী-বিদেশি জাহাজে জ্বালানি তেল (বাঙ্কারিং) অসাধু কিছু ব্যাবসায়ীদের সহায়তায় চিহ্নিত সিন্ডিকেট চক্রটি অবৈধভাবে হাজার হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাচার করছে। এ চক্রের সক্রিয় সদস্য হলেন উপজেলার দক্ষিণ দশানী গ্রামের মিঠুন ছৈয়াল। সক্রিয় সদস্য হওয়া সত্যেও তিনি রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে।
(২০ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেল চোরাকারবারী দলের অন্যতম সক্রিয় আরেক সদস্য সোহাগ ছৈয়াল (২৮) কে আটক করেছে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি। আটককৃত সোহাগ দক্ষিণ দশানী গ্রামের নবী ছৈয়ালের ছেলে। সে দীর্ঘদিন থেকে রাতের আঁধারে বিভিন্নস্থান থেকে আসা জাহাজ থেকে অবৈধভাবে ডিজেল তেল ক্রয় করে আসছিল। এই কাজে মিঠুন ছৈয়াল জড়িত ছিল বলে এলাকাবাসী জানায়।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারী সকালে উপজেলার দশানী এলাকা থেকে ১৫ হাজার ৮০০লিটার ডিজেল তেল আটক করে প্রশাসন ও কোস্টগার্ড। আটকের প্রেক্ষিতে কোস্টগার্ড ১০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। ঐ মামলায় সে থাকতে পারে বলে ধারনা করছে সাধারন মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন থেকে মেঘনা নদীতে বিভিন্ন সরকারী ও বে-সরকারী সংস্থার জাহাজে কর্মরত অসাধু মাষ্টার , ড্রাইভারদের যোগসাজশে অবৈধ উপায়ে ডিজেল ক্রয় করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অপেক্ষাকৃত অধিক মূল্যে মূল্যে পাইকারী ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে থাকে।
উপজেলার চোরা কারবারি যারা, তারা সপ্তাহে দু এক বার রাতের আঁধারে নদীপথে চোরাই কাজ করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ বলেন, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে আসামী সোহাগকে আটক করা হয়েছে। এই মামলায় আরো ২ আসামীকে কিছুদিন পূর্বে আটক করা হয়েছিলো।
অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজনের নাম আছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রশাসন যদি সুদৃষ্টি রাখে তাহলে এই সব চোরা কারবারিদের আটক করা সম্ভব হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা