নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দশ হাজার টাকার লোভে ফরিদ উদ্দিন ভুইয়ার (২৫) কে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আটক দুই আসামি। গতকাল ১৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম-বার। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভুইয়া বাড়িতে নিজ বসত ঘর থেকে ফরিদ উদ্দিনের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার উল্লেখ করেন, ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া হত্যার ঘটনায় তার বোন জামাই দুলাল চৌধুরী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আটক আসামিরা ঘটনা স্বীকার করে জানান, মৃত ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আসামি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া একই সাথে চলাফেরা করত। সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে মৃত ফরিদ উদ্দিনের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতো। ঘটনার আগের রাতে ফরিদ উদ্দিন ও সালাউদ্দিন বাড়ির পাশের দোকানে আইপিএল খেলা দেখছিল। এ সময় সালাউদ্দিন ফরিদ উদ্দিনের মানিভ্যাগে ১হাজার টাকার ১০টি নতুন নোট দেখতে পায়। এই নতুন টাকা এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে পার্শ্ববর্তী আবদুর রহমানকে নিয়ে ফরিদকে হত্যার পরিকল্পনা করে সালাউদ্দিন। ঘটনার রাতে তারা ফরিদের ঘরে ঢুকে দরজায় নক করে ধারালো দা’নিয়ে ওত পেতে থাকে। ফরিদ উদউদ্দিন দরজা খুলতেই তারা ফরিদের ঘাড়ে ধারালো দা দিয়ে কোপ দেয়। ফরিদ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা মৃতদেহ গুম করার জন্য তার শয়ন কক্ষে তোসকের ভিতরে প্যাঁচিয়ে রাখে। এরপর আসামিরা ফরিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ১০ হাজার টাকার নতুন নোট নিয়ে চলে যায়। বাইরে এসে সালাউদ্দিন তার সহযোগী আবদুর রহমানকে ৫হাজার টাকা দিয়ে ঢাকায় চলে যেতে বলে।
মামলা রুজু হওয়ার পর প্রথমে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি আবদুর রহমানকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুর রহমান ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং মূল আসামি সালাউদ্দিনের নাম ঠিকানা বলে দেন। তার দেয়া সাক্ষ্যে অনুযায়ী মূল আসামি মো. সালাউদ্দিনকে ফরিদগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।