শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে ঘুরছেন বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে চাঁদপুরের ৮ উপজেলা সহ দেশের ৪৯৫ টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারন চাঁদপুর জেলার ৭টি সহ সারাদেশে ৩২৩ পৌরসভার মেয়র অপসারণ ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত ২০ কচুয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটেছে সুন্দরবন -১৬ লঞ্চের, নারী নিখোঁজ ষোলঘর আদর্শ উবি’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডঃ হুমায়ূন কবির সুমন কচুয়ায় নবযোগদানকৃত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শিক্ষক সমিতি শুভেচ্ছা মতলব উত্তরে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা উপাদী উত্তর ইউনিয়নে দীপু চৌধুরীর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া

মিথ্যা মামলায় জামিন পেয়ে  আবারো জনতার কাতারে সাবেক চেয়ারম্যান দানেশ

reporter / ১৫৬ ভিউ
আপডেট : সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মিথ্যে মামলা থেকে জামিন পাওয়ায় ‘জনগণের চেয়ারম্যান’ খ্যাত মতলব উত্তর উপজেলা ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের একাধীকবারের সফল চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিল এলাকার হাজারো নারী-পুরুষ। রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর জেলা কারাগর থেকে বের হলে জেল গেইটের সামনে ফুলের মালা পড়িয়ে দেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে মটর সাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে এলাকায় গেলে হাজারো নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে দেলোয়ার হোসেন দানেশ, যুবলীগ নেতা ওয়াদুদ সরকার বাপক, মনির হোসেন সরকারকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এসময় উপস্থিত অনেককে আবেগাপ্লুত হয়ে চোখের জল ফেলতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, মহামারী করোনার দুঃসময়ে শুরু থেকেই মাঠে থেকে সাধারন মানুষের পাশে ছিলেন এই দুঃসাহসী ইউপি চেয়ারম্যান। নেই রাত নেই সাধারন মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। করোনা প্রতিরোধে করেছেন সচেতন মূলক লিফলেট বিতরণ এবং জীবানুু নাশক ঔষধ ছিটিয়েছেন। আর এই ভালো কাজগুলো করতে গিয়ে একটি চক্র ঈর্ষান্বিত হয়ে হত্যা মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মিথ্যা মামলা থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় গেলে এভাবেই হাজারো নারী পুরুষ দেলোয়ার হোসেন দানেশকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। অনেকেই আবার তাকে ফিরে পেয়ে আনন্দে চোখের পানিটুকুও ধরে রাখতে পারেননি। একদিকে আনন্দাশ্রু আরেক দিকে ফুলের মালা নিয়ে প্রিয় জনপ্রতিনিধিকে বরণ করতে দেখা গেছে।
এসময় দেলোয়ার হোসেন দানেশ বলেন, প্রথমে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই, এর পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই; কেননা তার শাসনামলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’ আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ’লীগের কার্যকারী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী’সহ চৌধুরী পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি যারা আমি কারাগরে থাকাকলীন সময়ে সার্বক্ষণিক আমার ও আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু হলেও ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে চৌধুরী পরিবারের জান্ডা উড়াবই। ”আমি আসলে আজকে এলাকাবাসীর এই ফুুলেল শুভেচ্ছায় হতভম্ব হয়ে গেছি। এলাকার মানুষ যে আমাকে এতটা ভালবাসেন তা অকল্পনীয়। কারাগরে থাকাকালীন সময়ে এলাকার অনেক মা-বোন আমার জন্য নফল রোজা, নফল নামাজ পরে আল্লাহ পাক এর দরবারে দোয়া করেছে। এর চেয়ে বড় পাওয়া আমার জীবনে আর কি হতে পারে।”
জনগনের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, আমি বিল্লাল হত্যার বিচার চাই। আমি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা তথ্য প্রযুক্তিরযোগে সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত হত্যাকারী সনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এসময় আ’লীগ নেতা ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম সরকার, আ’লীগ নেতা রুহুল আমিন সরকার, পনির সরকার, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা জি কিবরিয়া, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ইউনুস মল্লিক, শাহীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ. মান্নান,  মাইনুল খান চিসতি, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম নোমান দেওয়ান, রিতু চৌধুরী, যুবলীগ নেতা সেনা সরকার, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি সরকার প্রমুখ।


এই বিভাগের আরও খবর