মোঃ আলমগীর হোসেন।।
হাইমচর উপজেলার ৩ নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড চরপোড়ামুখী গ্রামে সাবেক ইউপি মেম্বার ইসমাইল কাজীর ত্রাসের রাজত্বে তটস্ত ওই এলাকার লোকজন। পারিবারিক গ্যাং, কিশোর গ্যাং, নারীর শ্লিলতাহানী, চাঁদাবাজি, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক ইউপি মেম্বার ইসমাইল কাজী অস্বীকার করে,আমাদের সংবাদ কর্মীদের সাথে এক বক্তব্য বলেন,,,,
আমি চরপোড়ামুখী ৭নং ওয়ার্ডে দীর্ঘ উনিশ বছর যাবত মেম্বার হিসেবে ওয়ার্ড বাসীর সেবা করেছি,জনপ্রতিনিধিদের প্রতিপক্ষ থাকাটাই স্বাভাবিক।পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে,অত্র এলাকার কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সাথে জমিজমা নিয়ে আমাদের অতিত বিভিন্ন ধরনের বিরোধ চলছে।
আমি এবং আমার পরিবার পরিজনদের মধ্যে কেহ যদি,কোন প্রকার চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী,নারীদের শ্লীলতাহানি করে থাকি এবং সন্ত্রাসী গ্রুপের মাধ্যমে,চরপোড়ামুখী এলাকার একটি মানুষকে ও অন্যায় ভাবে অত্যাচার,নিপীড়ন করে থাকি,তাহলে বাংলাদেশে আইনী,আইনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করে আমার ও আমার পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার কার্যকরুক।
আমি একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি একজন পঞ্চায়েত মজলিসে পারিবারিক দ্বন্দ্বের ছোটোখাটো মুরুব্বী।আইন ও প্রশাসন প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল,সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যদি বেরিয়ে আসে আমি সন্ত্রাস বাহিনী দ্বারা অত্র এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পদের উপরে প্রভাব খাটিয়ে কারো ক্ষতি করেছি তাহলে দেশের আইন অনুযায়ী যে শাস্তি আমাকে দেবে আমি তা মাথা পেতে নেব।
জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রতিপক্ষ থাকাটা স্বাভাবিক,আমি আমার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কিছুই বলবো না, আপনারা এলাকার সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করে তদন্ত করে দেখুন।
এ বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি এলাকার কিছু সংখ্যক বৃদ্ধ ও যুবকের সাথে কথা বলেন,মোঃ আলী আহাম্মেদ মোল্লা(৬০),মোঃ হানিফ গাজী(৮০) মনির কাজী(৬৫)সহ উপস্থিত অত্র এলাকার বাসিন্দারা বলেন,আমরা চরপোড়ামুখীতে জন্মসূত্রে বাসিন্দা আমরা ইসমাইল কাজীকে ছোটবেলা থেকেই চিনি,তিনি দীর্ঘ উনিশ বছর যাবত এই ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে জনসেবা করেছেন ছোটখাটো ভুলত্রুটি জনপ্রতিনিধিদের থাকেই উহা ব্যতিত কোনো প্রকার জোর জুলুম,সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজির মত কর্মকাণ্ড করতে কখনোই দেখিনি।
কিছু প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ার কারণে প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যে এ সব ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানান, এলাকাবাসী ও অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার ইসমাইল গাজী(৭০) এবং তাহার পরিবারে সদস্যদের আবেদন যে,সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিনীত আবেদন করছি।
এসব বিষয়ে হাইমচর থানা অফিসার্স ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ছফিউল্ল্যা কাজীর ছেলে জয়নাল আবেদীনের দায়ের করা মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।
গত ৬’ই জানুয়ারি নির্বাচকে কেন্দ্র করে একটি সংঘর্ষ গঠে,এ’বিষয়ে সম্পত্তি বিষয়ক পারিবারিক সমস্যার বিরোধ অতীতে রয়েছে,মামলায় উল্লেখিত বিষটিয়ের ভিত্তিতে সঠিকভাবে তদন্ত করে যাচ্ছে প্রশাসন।
হাইমচরে বড় কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ বা কিশোর গ্যাং এখন ও পর্যন্ত নেই তবুও,আমরা সঠিকভাবে এলাকার শান্তির ও জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করে যাচ্ছি।