আলমগীর হোসেনঃ
ঘন কুয়াশায় শীত উপেক্ষা করে ট্রলারে মেঘনা নদী পাড়ি দিচ্ছেন নারী-পুরুষ। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চাঁদপুরের হাইমচরে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গী কোলের শিশু সন্তানও ।
চাঁদপুরের ৩টি উপজেলা তথা কচুয়া, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচরের ৩১ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ গতকাল বুধবার (০৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
৫ নং হাইমচর ইউনিয়নের কয়েক জন ভোটার বলেন, আমাদের ভোটকেন্দ্র নদীর ওপার চরে। তাই হাইমচর লঞ্চঘাট থেকে ট্রলারে করে আমরা ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছি। প্রায় সহস্রাধিক ভোটারকে নদী পাড়ি দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে হয়।
এক নারী ভোটার বলেন, আমাদের পছন্দের প্রার্থী রয়েছে। তাই ছোট বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়েই ভোট দিতে যাচ্ছি। ট্রলারে ঝুঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আসা-যাওয়া করতে করতে ভয় লাগে না। তবে এখন এত মানুষ, তাই ভয় লাগছে এবং কষ্ট করে যেতে হচ্ছে।
এদিকে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে । সহিংসতা ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইউনিয়নের কোথাও অতিরিক্ত ২ প্লাটুন বিজিবি, কোথাও এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাবের পাশাপাশি পুলিশ, আনসার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, ৫ নং হাইমচর ইউনিয়নে মোট ভোটার ৫ হাজার ৬ শ ৩৭ জন। এখানে পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী লড়াই করছেন। কিছু ভোটারকে নদীর এপার থেকে ট্রলারে করে ভোট দিতে যেতে হয়। আমাদের পক্ষ থেকে ভোটারদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তারা নিজেদের দায়িত্বে ট্রলারে করে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে। শুধু প্রশাসনের লোকদের জন্য আলাদা ট্রলারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।