নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের চতন্তর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ( ৩২) কে ধারালো চুরি দিয়ে গলা কেটে পেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শরিফ ইসলাম গত চার মাস ধরে নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁও থানা সংলগ্ন নীলা ফার্নিচার কাজ করে আসছে,প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক শাড়ে নয়টার দিকে পার্শ্ববর্তী হোটেলে খাবার খেতে যাওয়ার পথে ঐ এলাকার নেশাগ্রস্ত শাহ আলম (৪০) নামে এক সন্ত্রাসী ধারালো চুরি দিয়ে গলায় পোছ মারলে শরিফ চিৎকার দিয়ে পার্শ্ববর্তী হোটেলে গিয়ে লুটিয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সন্ত্রাসী শাহ আলম ঘটনা ঘটিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করে,স্থানীয় লোকজন শরিফের গলায় ছুরির আঘাতের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে স্বীকার করেন,এরপর তারা তাকে বেদম মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন, বর্তমানে সে পুলিশের কাছে আটক রয়েছে।
আরো জানা যায় সন্ত্রাসী শাহ আলম ১৭ মাস জেল খেটে গত চার দিন আগে ছাড়া পান।
কি কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে তা এখনো ঠিক ভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক জানান গটনািট শুনে আমরা তাৎক্ষণিক নারায়ণগঞ্জে মাইক্রোযোগে চলে যাই সেখানে গিয়ে জানতে পারি সে মাদকাসক্ত। তার সাথে তার কোনো শত্রুতা ছিল না। তবে কি কারণে ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক বলতে পারতেছি না।
শরিফের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম,তার গ্রামের বাড়িতে আজ শুক্রবার বাদ মাগরি জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে, জানাজা ২ নং বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর,দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাকির হোসেন ও প্যানেল চেয়ারম্যান মানিক মিয়াসহ এলাকার শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।
তার এই অকাল মৃত্যুতে এতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম, মৃত্যুকালে বাবা-মা স্ত্রী দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান, পরিবারের পক্ষ থেকে খুনি শাহ আলমের ফাঁসি দাবি করেন এবং শরিফের আত্মার শান্তি কামনার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।