বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতালের মধ্যে চাঁদপুরে থেকে আন্ত জেলাসহ আভ্যন্তরণী সব ধরণের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে শহরের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও রেল স্টেশনে গিয়ে দেখাগেছে সবকিছুই স্বাভাবিক। শহরের সড়কগুলো রিকশা, অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহন চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা এবং শিক্ষার্থীরা সকল থেকে তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন।
লঞ্চঘাটে থাকা লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি শাহ আলম চোকদার জানান, চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী সিডিউল অনুযায়ী ভোর থেকেই লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রী সংখ্যা কম। সকাল ৮টায় ঘাটে অবস্থান করছিল এমভি ঈগল-৯ ও এমভি সোনারতরী-২ ও ৫।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান বাবুরহাট, ওয়ারলেছ, ডিসি অফিস এলাকা, বাসস্ট্যান্ড, মিশন রোড মোড়, ছায়াবানী ও চিত্রলেখা মোড়, কালিবাড়ী, শপথ চত্বর, নতুন বাজার মোড়ে ভোর থেকেই পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছে। তবে বিএনপি ও অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি।
এদিকে ভোর থেকেই শহরের কালিবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এবং জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জেলার নেতারা অবস্থান নিয়েছেন। সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের পালবাজার গেট এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি হরতাল বিরোধী মিছিল বের হয়। এটি চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়ক হয়ে জেএম সেনগুপ্ত রোড হয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম জানান, ভোর থেকেই পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে। আমরা কোন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম হতে দিব না।