৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে এই মতবিনিময় করা হয়।
এতে সনাতনধর্মালম্বীদের একাংশের হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় কুমার ভৌমিক বলেন, গেলো স্বরস্বতি পূজায় ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা কেনো বন্ধ ছিলো এমন প্রশ্ন তুললে কেউ কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি। যেই বক্তব্য তাৎক্ষনিক সমর্থণ করেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব রাধা গোবিন্দ গোপ, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কান্তি সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমীরন ভঞ্জ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রায়সহ অন্যরা।
পরে বিষয়টির কাউন্টার উত্তর দিতে গিয়ে রোষানলে পড়েন জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি গোপাল সাহা ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ। পরে মতবিনিময়ে জেলা উপজেলার সনাতনী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দর মাঝে বাক বিতণ্ডা শুরু হলে বিব্রত অবস্থার সৃষ্টি হয়। আর এ দেখে হল ছেড়ে বেরিয়ে যান চাঁদপুর সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি সামাল দিতে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্য পড়লে মাইক্রোফোন হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চমৎকার সমাধানমূলক বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
পরে একই সুরে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বক্তব্য রাখেন এবং পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণভাবে এই মতবিনিময় শেষ হয়। এদিন সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে সনাতনীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি সুন্দরভাবে উদযাপনে একমত হয় এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা অব্যাহতভাবে পাবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।