বিশ্বজিৎ চক্রবর্তি মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল (৫২) বছর। তিনি ১ ছেলে ও ১ কণ্যা সন্তানের জনক ছিলেন। স্ত্রী, বাবা মা সহ বহু আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তি দির্ঘ্য প্রায় ১০ বছর সুনামের সাথে চাঁদপুর শ্রী শ্রী কালিবাড়ি মন্দিরে প্রধান পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল রোববার বিকাল সোয়া ৩ টায় বিশ্বজিৎ চক্রবর্ত্তীর মৃতদেহ তার কর্মস্হল চাঁদপুর কালীবাড়ি মন্দিরে আনা হলে তাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে কালীবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটি ও হরিবোলা সমিতির নেতৃবিন্দু।বিশ্বজিৎ চক্রবর্ত্তীর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর দিঘলদী ঠাকুর বাড়ি। কালিবাড়ি মন্দির থেকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বজিৎ চক্রবর্ত্তী গত দেড় বছর যাবৎ অসুস্থ হয়ে মন্দিরের কাজে নিজেকে নিয়মিত সক্রিয় রাখতে পারেননি। কিছুদিন পর পর রক্তশুন্যতা দেখাদিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। গত কয়েক মাসে ৯বার ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে রক্ত দেয়া হয়েছে। গত ১৫ দিন পূর্ব রোগের ভয়াবহতা দেখা দিলে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে তাকে পিজি হাসপাতাল ভর্তি করাহয়। ভর্তির পর বিভিন্ন পরীক্ষা করে ক্যান্সারের জীবানু শরীরে ধরা পরে।পিজি হাসপাতালে ক্যান্সার ট্রিটম্যান্টের শাখা বা কার্যক্রম তেমনভাবে বিস্তার না হওয়ায় তার পরিবার উত্তরা আহসানিয়া ট্রাষ্ট ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি চেষ্টা করে। আহসানিয়া ট্রাষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করে। তারপর পিজি হাসপাতালেই ক্যান্সার চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেই হাসপাতালেই আজ সকালে তিনি মৃত্যুবরন করেন।
গতকাল বিকাল সোয়া ৩ টায় বিশ্বজিৎ চক্রবর্ত্তীর মৃতদেহ তার কর্মস্হল চাঁদপুর কালীবাড়ি মন্দিরে আনা হলে তাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে কালীবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটি ও হরিবোলা সমিতির নেতৃবিন্দু।
বিশ্বজিৎ চক্রবর্ত্তীর মৃত্যুতে গভির শোক প্রকাশ করেছেন হরিবোলা সমিতির বর্তমান প্রাণপুরুষ অজয় কুমার ভৌমিক, কালিবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষে সুভাষ চন্দ্র রায়, নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী, মধু পোদ্দার, দুলাল রায়,কিশোর কুমার শংকর, গোবিন্দ সাহা, সুভাষ সাহা, সংগ্রাম চন্দ, প্রবির পোদ্দার,মধু দাস, কেশব কর,অজুর্ন সাহা, অজয় মজুমদার, বিকাশ মজুমদার টিটু, মুন্নাসহ আরো অনেকে।