বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে এক ভবঘুরে পুরুষ ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ অবস্থান করছিল। চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল/ আবুল হোসেন মানিক গত ৩০জুলাই তারিখ হতে অজ্ঞাতনামা ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন পুরষকে দেখাশোনা করে আসছিল। অবশেষে গত ৩আগষ্ঠ তারিখ কনস্টেবল/ আবুল হোসেন মানিক তাকে আদালত চত্বর হতে উদ্ধার করে নিজ হাতে দাঁড়ি, চুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নতুন জামা কাপড় পরিধান করিয়ে চিকিৎসার জন্য অর্পণ, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র, চাঁদপুরে ভর্তি করে তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করে। কনস্টেবল/ আবুল হোসেন মানিকের ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ার মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা ভবঘুরে ব্যক্তির পরিবারের সন্ধানে প্রচরাণা চালায়। অবশেষে গত ৭ আগষ্ট তারিখে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয়দানকারী মোঃ টিপু (২৮), পিতা- মোঃ ছবির মিয়া, মাতা-নাসিমা খাতুন, সাং-পুরাতন চৌধুরী পাড়া, ৫নং ওয়ার্ড, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা বলে জানা যায়। টিপুর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের চাঁদপুর আসার যোগাযোগ করা হয়। কনস্টেবল/ আবুল হোসেন মানিক ইতি পূর্বেও কক্সবাজার জেলা পুলিশে কর্মরত থাকাকালীন ০৯ জন, চট্টগ্রাম শহর হতে ০৩ জন, নোয়াখালী সদর হতে ০১ জন, লক্ষীপুর সদর হতে ০৪ জন এবং চাঁদপুর জেলা সদর হতে টিপুসহ ০৫ জন সর্বমোট ২২ জন অজ্ঞাতনামা মানসিক ভারসাম্যহীন পুরুষ ও মহিলা উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে তাদের অভিবাকদের নিকট হস্থান্তর করে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি এ যাবৎ ২৯ বার স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন। সে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল/ আবুল হোসেন মানিক লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার রোকনপুর গ্রামের রুহুল আমিন ও নুরজাহান দম্পত্তির ছেলে। তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। কনস্টেবল/ আবুল হোসেন মানিক আরো জানান “ভবিষ্যতে তার সামর্থ্য অনুযায়ী বেতনের টাকার কিছু অংশ দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন, দুস্থ, এতিম, গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে চাকুরির পাশাপাশি দাঁড়াতে চায়”।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম জানান এ মহৎ কাজটি পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এ ধরণের মানবিক কাজ চাঁদপুর জেলা পুলিশ প্রতিনিয়ত করবে।
এছাড়াও টিপুর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার।