মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচন ১৭ই জুলাই। তাই নির্বাচনের হাওয়া বইছে পৌরবাসীর মাঝে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া উয়ে উঠেছে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলীয় নৌকা প্রতীকের টিকিট পেতে কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছেন আ’লীগের তারা। কে পাচ্ছেন আ’লীগের দলীয় টিকিট- চায়ের কাপ থেকে শুরু করে সর্বত্রই এখন চলছে আলোচনা।
নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। তাকে দলীয় মেয়র প্রার্থী দেখার দাবী তার অনুসারীদের। বিভিন্ন পয়েন্ট ও মেইন রোডের পাশ বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরিয়ে দিয়েছেন সর্মথকরা। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তিদের অধিকাংশের সমর্থন জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর দিকে।
সরেজমিনে কথা হয় আ’লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষদের সাথে। অধিকাংশের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন জহিরুল ইসলামের নাম। তারা বলেন ‘জহিরুল ইসলাম ভাইয়ের লগে কেউর তুলনা অয় না। সে অইলাে সাধারণ মাইনষের নেতা। সে নৌকা পাইলে বহুত ভোটে পাশ অইব। দল নয়, ব্যক্তি জহিরুল ইসলাম দল মতের উর্ধ্বে থেকে ন্যায়-নীতিবান মানুষ।
সবার মুখে মুখে শোভা পাচ্ছে জহিরুল ইসলামের সার্বিক কর্মকান্ডের ব্যাপক ভূমিকার কথা। তৃণমূলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সাথে ভালো যোগাযোগ ও সুখে-দুখে জনগনের পাশে থেকে সেবা করার কারনে সবার মধ্যমনি।
জহিরুল ইসলাম যেন পৌরসভার মেয়র হিসেবে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পান এই দাবী দলের নেতাকর্মীদের।
এ বিষয়ে পৌর যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন বলেন, পৌরসভার তরুণ ভোটারদের কাছে কতটুকু জনপ্রিয়, এটা বুঝানো যাবে না। তবে তিনি নৌকা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি। মানুষ উৎসব করে জহিরুল ইসলামকে ভোট দেবে। সাধারণ জনগণের নিকট জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা, ত্যাগী সংগঠক, কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব, দুর্নামহীন নেতা, পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, এ হিসেবে সর্বসাধারণের নেত্রীর কাছে দাবী জহিরুল ইসলাম ভাইকে পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি করে পাঠায়। জহিরুল ইসলাম ছাড়া অন্য কেউ নৌকার টিকিট পেলে পাশ করা সম্ভব হবে না।
মনোনয়ন প্রত্যাশী জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার বাবা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে, মতলব উত্তর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও ছেংগারচর পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, পৌর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন, আমার বাবা ২০০১ সালে বিএনপি জামায়েত সরকারের মামলা ও নির্যাতনের শিকার হন,
আমরা ৫ ভাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, আমি ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে চার দলীয় জোট সরকারের দলীয় লোক দ্বারা মিথ্যা মামলা ও হামলার স্বীকার হয়ে ০৮ টি মামলা হয় এবং ০২ বার গ্রেফতার হই, আমার পরিবারের উপর বিএনপি জামায়েত সরকার বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে। ও আমার বড় ভাই জামাল উদ্দীন চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
আমি সেই কিশোর বয়সে ছাত্ররাজনীতি থেকে ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক, ও বর্তমান বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা সহ-সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ চাঁদপুর জেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, মতলব উত্তর থানা কমিউনিটি পুলিশিং, যুগ্ন আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রলীগ এক্য পরিষদ, সাবেক সহ-সভাপতি চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগ করে আসছি। বিভিন্ন সময় দলের স্বার্থে দলীয় সকল প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকেছি।
দলের দুর্দিনেও পিছপা হইনি। নেতা-কর্মীদের দুঃসময়ে পাশে থেকেছি। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। হামলার শিকার হয়েছি এবং করোনাকালীন সময়েও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকেছি। সততা ও ন্যায় নীতির প্রশ্নে কখনো আপোষ করিনি।
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি মহোদয়ের নীতি-আদর্শই আমার চলার পথের প্রেরণা। আমার বিশ্বাস দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার দীর্ঘ ত্যাগ-তীতিক্ষা ও পরিশ্রমের মূল্যায়ন করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন এবং সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমি বিজয়ী হয়ে নেত্রীর মূল্যায়ন ও নেতা-কর্মী তথা সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিদান দিতে সচেষ্ট হবো।