শিরোনাম:
কচুয়ায় তারুণ্যের উৎসব জাতীয় গোল্ডকাপ বালক অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত কচুয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন মতলবের মেহরনে মাদক বিরোধী ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত চাঁদপুরে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী আহত, কিশোর নিহত মতলবের উদ্দমদী ওয়েফারার কমপ্লেক্সের মাহফিল সম্পন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ৩৬ জুলাই ঘিরে তরুণদের আগ্রহ কচুয়ার সাচারে আল শিফা হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য লিফটের বিতরন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ফরিদগঞ্জে রাসূল (সাঃ) অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ফরিদগঞ্জের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ॥ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

admin / ৪২০ ভিউ
আপডেট : বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১

পুরোপুরি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সোমবার গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ১৭ লাখ টাকায় ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা এবং পুড়ে যাওয়া কনক এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকির হোসেন ও অন্য দোকানের মালিক নবী উল্লাহ জানান, অন্য দিনের মতো তারা রাত সাড়ে দশটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। হঠাৎ রাত তিনটার দিকে শোনা যায় দোকানের দিকে কিসের যেন আওয়াজ হচ্ছে। পরে তারা ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তাদের দোকানে আগুন জ্বলছে। পরে তাদের ডাকচিৎকার ও পাশের মসজিদের মাইকে মানুষজনকে ডেকে এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে চাঁদপুরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে এবং এলাকার জনগণসহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে কনক এন্টারপ্রাইজ ও নবী উল্লাহর মুদি দোকানের সমস্ত কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নবী উল্লাহর চা ও মুদি দোকানের গ্যাসের চুলা থেকে প্রথমে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন দ্রুত পাশের জাকির হোসেনের কনক এন্টারপ্রাইজে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এমনটা হতে পারে।

এ বিষয়ে কনক এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ জাকির হোসেন মিয়াজী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার দোকানটি মূলত ভ্যারাইটি মালামালে পরিপূর্ণ ছিল এবং তিনি একজন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা। তিনি একজন বিকাশ, নগদ, মোবাইলের লোড, মুদি মালামাল হার্ডওয়্যার এবং বিভিন্ন ধরনের জুতাসহ আরো বিভিন্ন মালামালের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা। তার দোকানে সমস্ত মালামাল এবং নগদ ৯০ হাজার টাকা এবং দশটি মোবাইল সেট সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দাঁড়াবে বলে তিনি জানান।

তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, তার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। চাকরি শেষ হওয়ার পরে তার বাবার পেনশনের টাকা দিয়ে তিনি এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছেন।


এই বিভাগের আরও খবর