শিরোনাম:
বিদ্যালয়ে পিয়ন থাকলেও শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে মাঠ পরিস্কার করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ফরিদগঞ্জে ইংলিশ ডোরের উদ্বোধন ফরিদগঞ্জে ফারিসা’র নয়া কমিটি সভাপতি মোতাহার হোসেন, সম্পাদক মহেশ শর্মা চাঁদপুরে এসএ টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন চাঁদপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অসহায় শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র উপহার দিল চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স মতলব উত্তরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামী গ্রেফতার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিক্রি বাড়াতে খুশি ক্ষূদ্র উদ্যোক্তারা রূপগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের অভিষেক ও পরিচিতি সভা

ফরিদগঞ্জে অযত্নে অবহেলায় ধবংস হয়ে যাচ্ছে স্থাপত্য শৈলি

reporter / ৩১৪ ভিউ
আপডেট : শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২

মোঃ জাহিদুল ইসলাম ফাহিমঃ
নেই জমিদার, নেই জমিদারীও। নেই তাদের পাক-পেয়াদা, নেই হাতি, ঘোড়া। আছে শুধু জমিদারদের রেখে যাওয়া স্থাপত্য শৈলী। অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেছে জমিদাররা এ দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু কালের সাক্ষী হয়ে আজও রয়ে গেছে তাদের স্থাপত্য শৈলী।
কিন্তু অযত্নে অবহেলায় ধবংসের মুখে ফরিদগঞ্জের এসব স্থাপত্য শৈলি গুলো। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যের বাহনের প্রায় কিয়দাংশ জুড়ে আছে ফরিদগঞ্জের মাটিতে।
এখানে ইংরেজ বনিকদের রেখে যাওয়া নীল কুঠি সহ রয়েছে বেশ কয়েকটি জমিদারি স্থাপনা।
যেগুলো প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের পরিচয় বহন করে।
তবে কালের বিবর্তনে এই পরিচয় শেষ হওয়ার মুখে।  ফরিদগঞ্জের সবগুলো প্রাচীন স্থাপনাই ধবংসের মুখে। সবগুলো স্থাপনার ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা তো রয়েছেই।  ঝোপ ঝাড় জঙ্গলে ঘিরে আছে সবগুলো স্থাপনা।  কোনো কোনোটিতে মানুষের বসবাস গড়ে উঠেছে । মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে ভেঙে চুরে ব্যবহার করছে স্থাপনার যায়গাগুলো।
ফরিদগঞ্জে উল্লেখযোগ্য প্রাচীন স্থাপত্য শৈলির মধ্যে রয়েছে সাহেবগঞ্জের নীল কুঠি।  সেখানে স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুরতান ভবন গুলো প্রায় ধবংস হওয়ার মুখে।   গোরু পালন, অস্থায়ী বাথরুম সহ অনেক কিছু দেখা গেছে স্বরজমিনে গিয়ে
।সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকলে খুব দ্রুতই হারিয়ে যেতে পারে এসব নিদর্শন।
ফরিদগঞ্জের কড়ৈতলি জমিদার বাড়িরও একই অবস্থা। দালান গুলো থেকে ইট পাথর ঝরে পড়ছে। জঙ্গলে ছেয়ে আছে চারপাশ।  যেন দেখার কেউ নেই।
লোহাগড়া মঠেরও একই অবস্থা সেখানকার স্থাপনাগুলোও অযত্নে অবহেলায় ধবংসের মুখে। রুপসা জমিদার বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা পারিবারিক সুত্রে এখনো ভালোভাবে টিকে আছে।
এসব স্থাপত্য শৈলি ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে ফরিদগঞ্জে গড়ে তোলা যেতো পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার মানুষের জীবিকার উৎস হতে পারতো এসব স্থাপত্য শৈলি।
কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। অযত্নে অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে এসব স্থাপত্য নিদর্শন।


এই বিভাগের আরও খবর