এক সময়ের হতদরিদ্র সেই যুবকটি নিজের সততা ও কঠোর পরিশ্রমের কারনে বর্তমানে শিল্পপতি ও সিআইপি জালাল আহাম্মেদ। নিজের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এবার চাঁদপুর ৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হিসেবে এমপি হতে জালাল আহাম্মেদ আটঁঘাট বেঁধে দলীয় প্রচার প্রচারনা নিয়ে মাঠে নেমেছে।
দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর যাবৎ নানাবিধ সুযোগ সহযোগিতা দিয়ে মানুষের বিভিন্ন দুঃখ দর্দশা লাগব করে আসা জালাল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী সহ নানাহ প্রচার নিয়ে গনসংযোগ করে মাঠে নেমেছে। এলাকায় জালাল আহাম্মেদ গরীবের বন্ধু হিসেবে তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম। জালাল আহাম্মেদের গনসংযোগের সময় আওয়ামী লীগ , যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা কর্মীদেরকে তার সাথে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মরহুম হাজ¦ী আবদুর রশিদের ছেলে জালাল আহাম্মেদ তার কঠোর পরিশ্রম ও সততা দিয়ে কাতারে প্রতিষ্টিত ব্যবসার সুবাদে রয়েছে তার ব্যাপক সুনাম ও সুখ্যাতি। এক সময়ে নিজের দারিদ্রতাকে জয় করে আসা বর্তমানে শিল্পপতি জালাল আহাম্মেদ এলাকার অসহায়দের নানাবিধ সহযোগিতা করার কারনে এলাকার গন মানুষের কাছে তিনি গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
এলাকার লোকজন জানায়, জালাল আহাম্মেদ সত্যিকার অর্থেই একজন নিরংকার ও নির্লোভী মানুষ। নিজের পরিশ্রম ও সততার কারনে প্রতিষ্ঠিত জালাল ব্যবসার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সুবাদে তিনি কাতারস্থ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও কাতারস্থ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের উপদেষ্টা হয়েছেন। দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর যাবৎ তিনি নিজের অর্থে করোনা কালিন সময় ছাড়াও অসহায় মানুষের নানাবিধ উন্নয়ন মূলক কাজ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।
সিআইপি জালাল আহাম্মেদ এলাকার মানুষের উন্নয়ন মূলক কাজের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য তার নিজস্ব অর্থায়ানে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নের অসহায়দের জন্য ৩শ ৩০টি টিনসেড ঘর ও ৪০টি পাকা ঘর নির্মান করে দিয়েছেন। কাতারে তার ব্যক্তিগত শিল্প প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন মার্বেল টাইস কোম্পানীতে ৫শ শ্রমিক ও বাংলাদেশের মংগলা ইপিজেডে স্থ্াপিত উক্ত কোম্পানীতে ৩শ শ্রমিক চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুধূ তাই নয়,বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাখাতে উন্নয়নের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে নগদ অর্থ প্রদান করে দেশ ও মানুষের কল্যানের স্বার্থে অনন্য অবদান রেখেছেন।
সিআইপি জালাল আহাম্মেদ প্রসংগে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লোকমান তালুৃকদার বলেন, সর্বমহলে গ্রহনযোগ্য জালাল আহাম্মেদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে তার জয় নিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের কোন বেগ পেতে হবে না বলে আমার দৃড় বিশ^াস রয়েছে।
জালালের বড় বোন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজুদা বেগম ও ছোট ভাই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ,তরুন সমাজ সেবক মো: শাহাবুদ্দীন ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় সিআইপি জালালের পক্ষে নের্তৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করে মাঠ গরম রেখে আসছেন। বিশেষ করে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে সিআইপি জালাল আহাম্মেদের আহবানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার নারী পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতিতে দলীয় কর্মসূচী পালন করে গত আগষ্ট মাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
জালালের বড় বোন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজুদা বেগম বলেন, আমরা এক সময়ে হতদরিদ্র ছিলাম। হতদরিদ্র ও গরীবের বেদনা যে কত কষ্টের তা আমার ভাই জালাল আহাম্মেদ বুঝে বিধায় বিশেষ করে অসহায়দের স্বার্থে সে সবসময় উদার থাকে।
সিআইপি জালাল আহাম্মেদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নিজের কঠোর পরিশ্রম আর সততার বলে মহান আল্লাহপাক আমাকে যা দিয়েছে সে জন্য আমি আল্লাহর দরবারে কোটিকোটিগুন শুকরিয়া আদায় করছি। আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ৪১ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যে ভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে চাঁদপুর ৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেলে জয় নিশ্চিত করে এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিতে চাই। একই সাথে ফরিদগঞ্জের সকল মানুষকে সাথে নিয়ে আরো বেশীবেশি আর্থিক সহযোগিাতা,সামাজিক উন্নয়ন ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করার সুযোগ চাই।