শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জে আকাশচুম্বী বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহকের মাটিচাপা ভোগান্তি সালিশ মানে না, রায় মানে না। কারা চালায় এমন অদৃশ্য শাসন ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ আটক ৩ মতলব দক্ষিণে ভুট্টার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা মতলব দক্ষিণে ২ টাকার সিঙ্গারায় ভাগ্য পরিবর্তন ইয়াসিনের প্রেমের টানে ফরিদগঞ্জে মুসলিম মেয়ের বাড়িতে হিন্দু তরুণী ১৭ জন শিক্ষার্থীর স্বপ্নের সারথি হলে স্বপ্নের ফরিদগঞ্জ সংগঠন ফরিদগঞ্জ মানবসেবা ফাউন্ডেশন পথচারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ সম্পন্ন ফরিদগঞ্জে পৌর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এক্স  স্টুডেন্ট ক্লাব চাঁদপুরের  ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়ক সংস্কারের পরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় জনদূর্ভোগ চরমে, যাত্রীদের ক্ষোভ 

reporter / ২০৫ ভিউ
আপডেট : রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি :
ফরিদগঞ্জ আঞ্চলিক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়কে যাতায়াত করা সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি যেন শেষ হয়েও হয়নি শেষ। কয়েক ধাপে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন  হওয়ার পর নানা প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল পেরিয়ে সড়ক সংস্কার হলেও এই রূটের অন্যতম বাহন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা গুলোতে যাত্রীদের কাছ আদায় করা হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সদর উপজেলার যোগাযোগ রক্ষাকারী জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে করা কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বে  ফরিদগঞ্জ থেকে রূপসা যাতায়াতের ভাড়া নির্ধারিত ছিলো ২০ টাকা। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে খানা-খন্দে ভরা এই সড়কটির বেহাল দশা হয়ে ওঠে চলাচলের অনুপযোগী। যার ফলে গাড়ি চালকরা কেউ কেউ বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াতের কারণ দেখিয়ে আবার কোন কোন সিএনজি চালক সেই খনা-খন্দের বেহাল সড়কটি দিয়েই যাতায়াত করে গাড়ির বিভিন্ন পার্টস দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারন দেখিয়ে ২০ টাকা ভাড়ার স্থলে ৩০ টাকা  আদায় করতো। সে সময়ে  সড়কের এমন অবস্থার কারনে অনেকটা পরিস্থিতির শিকার হয়েই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে এ রুটের যাত্রীদের। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ হয়ে পূর্বের ন্যায় পিচ ঢালা মসৃন সড়কে পরিণত হলেও নির্দিষ্ট ভাড়ার ৫০ শতাংশ অধিক ভাড়াই আদায় করছে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা।
সড়কটি সংস্কারের ১ সপ্তাহ পার হলেও কমেনি বর্ধিত ভাড়া। বিভিন্ন সময় এ রুটের যাত্রীরা চালকদের সাথে ভাড়া নিয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়ালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, চালকরা ২০ টার ভাড়া ৩০ টাকাই আদায় করছেন। এমন পরিস্থিতি সমাধানে এ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির প্রতিনিধি কেউই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। যেন অভিভাবকহীন সড়কটি দেখার কেউ নেই। এ রুটে নিয়মিত যাতায়াত কারা যাত্রীদের যেন ভোগান্তির শেষ হয়েও হয়নি শেষ।
আঞ্চলিক এ রুটে চলাচলকারী কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালকের কাছে ‘কেন নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া?’ -এমনটি জানতে চাইলে মনির হোসেন নামে এক সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক বলেন, সবকিছুর দামই তো বাড়ে, বাজার কোনডার দাম কমছে ? আমরা যে গ্যাস ডুকাই গ্যাসের দামও তো কয়েকবার বাড়ছে। যেইডার দাম একবার বাড়ে, ওইডা কি আর কমেনি?
‘দূরত্ব অনুযায়ী অন্য রুট গুলোতে তো ভাড়া আরো কম তা হলে এই রুটে কেন আদাই করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া?’ -এমন প্রশ্নের জাবাবে ইকবাল হোসেন নামক অন্য এক চালক বলেন, সব কিছুর দামই বাড়ে, ড্রাইবারগো ধারে ভাড়া দিতে আইলেই সব সমস্যা দেহা দেয় মাইনষের।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাআলম মিজির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকার পর রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি আমরা শীঘ্রই সিএনজি ও অটোরিক্সা চালকদের ডেকে ওদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরির কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি কিংবা কেউ কোন লিখিত আবেদন জানায়নি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে অভিযোগ সত্যি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এই বিভাগের আরও খবর