নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুর মতলব দক্ষিণে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১,আহত ১ এই নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন এর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পৌরসভার পানির টাংকি পুরাতন কফি হাউজের সামনে গত ২৪ মার্চ বুধবার সন্ধা ৭ টায়।
ঘটনার বিবরনে জানাযায় যে, গত ২৪ মার্চ বুধবার বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে মতলব দক্ষিণ, পৌরসভা,৪নং ওয়ার্ড,সানাউল্লাহ মেয়ে রত্না আক্তার,(১৫) ১নং ওয়ার্ডে জাহিদ হাছান (১৮) পিতা জাকির মিজি, রিদয় হোসেন,(১৯) পিতা, রিপন হোসেন সহ সকলে মিলে বিয়ের পার্টিতে ডান্স করতে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে টিক টক করবে বলে ২২পুর ব্রিজের উপরে যায় ও তারা টিকটক করে।
পরে মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের বাবুল মিয়াজী,ছেলে মোঃ আরিফ মিয়াজী, আলি আহম্মদ মোল্লা, ছেলে রিয়াদ মোল্লা সহ পালসার ১৫০ সিসির গাড়ি টি ড্রাইভিং করে রত্না, জাহিদ, রিদয় সামনে নিয়ে রাখার পর । সেখানে রত্না আরিফ মিয়াজী কে বলে ভাই আমাদের ফুচকা খাওয়ান।
তখন আর আরিফ সকল কে ফুচকা খাওয়ায়। পরে আরিফ মিয়াজী ও রিয়াদ মোল্লা সহ কাজলি হলের সামনের পাম্প থেকে তেল আনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে রত্না তার সাথে জাহিদ, রিদয় কে বলে আমি বিয়ের পর্টিতে ডান্স করতে যাবোনা তাহলে আমি আরিফ ভাইয়ের সাথে চলে যাই আমি কাজলীর মরে নেমে যাবো।
তখন রত্নার সাথে থাকা জাহিদ, রিদয় কাছ থেকে হাসি খুসি ভাবে বিদায় নিয়ে আরিফ ও রিয়াদ মোল্লা সাথে কাজলী হলের সামনে তেলে পাম্প উদ্দেশ্য রওয়ানা করলেই সন্ধ্যা ৭ টার সময় পানির টাংকি পুরাতন কফি হাউজের সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে পিছন থেকে আরেক টি গাড়ি মেরে দিলে রিয়াদ মোল্লা মটর সাইকেল টির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা ডান পাশে পরে যায়।
পিছনে বসা আরিফ ও রত্না রাস্তা পাশে পরে গিয়ে মারাত্মক জখম হয়। এদিকে এলাকায় বাসী দেখে মতলব দক্ষিণ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে আরিফ মিয়াজী মাথায় বড় ধরনের ইনজুরি ও রিয়াদ মোল্লার অবস্থা খারাপ দেখে তাদের কে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে।
আর রত্না কে প্রাথমিক চিকিসা দিয়ে বাড়িতে পাঠোনো হয়। আহতদের চাঁদপুর সদর হাসপালে আনলে তাদের দ্বিতীয় তলায় সার্জারী বিভাগে ভর্তি করানো হয়।এর মধ্যে রিয়াদ মোল্লা অবস্থা আশংকা জনক দেখে সদর হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল রেফার করে।
এমন্ত অবস্থায় রিয়াদ মোল্লা কে এ্যাম্বুলেক্স যোগে ঢাকা মেডিকেল উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়ে মেঘনা ব্রিজ পর্যন্ত গেলে রিয়াদ মোল্লা তখন দুনিয়ার মায়া তেগ করে চলে যান না ফেরার দেশে। পরের সেখান থেকে মতলব উত্তর গাজীপুর মোল্লা বাড়িতে নিয়ে আসে।
রত্না আক্তার রিয়াদ মোল্লার মৃত্যু খবর পেয়ে রিয়াদ মোল্লা বাড়িতে গেলে তার সাথে পরিবারের লোকজন বাজে ব্যবহার করে পরে রত্না চলে আসে। অপরদিকে পরের দিন নিহত রিয়াদ মোল্লা কে তারের গ্রামে দাফন করা হয়।
অন্যদিকে ২৬ মার্চ বিকেলে আহত আরিফ মিয়ারীর চিকিসার অবনতি দেখে তাকে কর্তবর্ত ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল রেফার করে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
কিন্তু ৩০ মার্চ বাম পায়ের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে তাকে অর্থপেটিক্স ডাক্তার দারা পায়ের অপারেশন করে আরিফ মিয়াজীর জীবন মরন সন্ধিক্ষনে আছে ।
আরিফ কে নিয়ে চিন্তিত রয়েছে তার পরিবারের সকলেই কিন্তু তাদের গ্রামের কিছু অসৎ চরিতের লোক আছে তারা নানান গুঞ্জন ছড়াছে। তাদের সড়ক দুর্ঘটনায় নাকি পরিকল্পিত আবার গ্রামের বসবাস কারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন এটা কিভাবে সম্ভব সড়ক দুর্ঘটনায় তো কাউকে বলে আসেনা, এদিকে আহত আরিফ মিয়াজীর স্ত্রী নিয়ে বাজে মন্তব্য করে।
এবিষয়ে রত্নার সাথের দুই বন্ধু ডান্সার জাহিদ ও রিদয় বলেন, আমরা তিন জন মিলে বিয়ের পার্টিতে ডান্স করতে যাওয়ার পূর্বে মুহুর্ত ২২পুর ব্রিজে উপর যাই টিকটক করার জন্য এর কিছুক্ষন পরে আরিফ মামা ও সাথে দিয়াদ ভাই আমাদের সামনে গাড়ি থামালে রত্না আরিফ মামা কে ফুচকা খাওয়াতে বলে।
আরিফ মামা আমাদের সকল কে নিয়ে ফুচকা খাওয়ায় তখন রত্না আমাদের বলে আমি আজ বিয়ের পার্টিতে যাবো না আমি আরিফ ভাইয়ের সাথে চলে যাই আমরা তখন সকলে হাসি খুসি ছিলাম পরে রত্না কে আরিফ মামার সাথে গাড়িতে উঠিয়ে বিদায় নিয়ে চলে আসি।
এদিকে রত্না সাথে কথা বলতে গেলে সে আমাদের প্রতিবেদক কে জানায়,আমরা তিন জন মিলে বিয়ের পার্টিতে ডান্স করতে যাওয়ার পূর্বে মুহুর্ত ২২পুর ব্রিজে উপর যাই টিকটক করার জন্য এর কিছুক্ষন পরে আরিফ ভাই ও সাথে দিয়াদ ভাই আমাদের সামনে গাড়ি থামায় তখন আমি আরিফ ভাই কে ফুচকা খাওয়াতে বলি পরে আরিফ ভাই আমাদের সকলে কে ফুচকা খাওয়ায়।
তার পরে আমি আরিফ ভাই কে বলি আমাকে কাজলীর মোড়ে নামিয়ে দিয়েন। পরে মটর সাইকেল ড্রাইভিং ছিলেন রিয়াদ ভাই তার পিছনে বসা আরিফ দুলাভাই ও আমি। কাজলীর মোরে আমাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য রওনা করলে পানির টাংকি পুরাতন কফি হাউজের সামনে গেলে তখন পিছন থেকে কোন এক গাড়ি আমাদের গাড়ির টি কে মেরে চলে যায়।
রিয়াদ ভাই পরে রাস্তায় ডান পাশে আরিফ ভাই ও আমি রাস্তা পারে থাকি আরিফ ভাইয়ে মাথা ফেটে প্রচুর রক্ত বের হতে দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এতে আমার শরীরে বিভিন্ন স্থান অনেক ক্ষত ও ব্যাথা অনুভব করি।আমাকে নিয়ে গাজীপুর গ্রামের কিছু অসৎ লোক আজে বাজে মন্তব্য করে।
এ বিষয় নিহত রিয়াদ মোল্লা পরিবারের লোক জনের সাথে আলাপ করতে গেলে সম্ভব হয় নি।
আহত আরিফ মিয়াজীর আলাপ করতে গেলে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে দেখে এতে আরিফে স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী নিয়ে জীবন মরন সন্ধিক্ষনে আছি অনেক গুরতর অসুস্থ অবস্থায় আছে। কিন্তু এই অবস্থায় গাজীপুর গ্রামের কিছু মানুষ নানা গুঞ্জন ছড়াছে যে সড়ক দুর্ঘটনায় নাকি ইচ্ছে করে হয়েছে।
কিন্তু গাড়ি ড্রাইভিং করেছে রিয়াদ মোল্লা পিছনে বসা ছিল আমার স্বামি আরিফ মিয়াজী ও রত্না তাহলে আমার স্বামী ও রত্না ইচ্ছে করে কি ভাবে করলো। গাজীপুরে কিছু লোক বলে আমার স্বামী আরিফ ইচ্ছে করে করিয়েছে এ দুর্ঘটনা। বিপদ কখনো কাউকে বলে আসে না যে লোক বিপদে পরে সেই বুজে আমাদের মানসম্মান যারা নষ্ট করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য থাকিব।