সাইফুর রহমান সবুজঃ
দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই দ্রব্য মূল্যে বৃদ্ধির মধ্যেও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় উপাধি ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী রুচিসম্মত সিঙ্গারা বিক্রি করে জীবন চালাচ্ছে। তার দোকানে সিঙ্গারা প্রতি পিচ মাত্র দুই টাকা। অথচ অন্যান্য দোকানে ৫/১০ টাকার নিচে কোনো সিঙ্গারা পাওয়া যায় না।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপাদী বাংলা বাজারের ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম প্রায় ২৫ বছর এই ব্যবসা চালিয়েছেন।বর্তমানে তার ছেলে ইয়াসিন ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এখানে শুধু প্রতিদিন বিকেলে ৩/৪ ঘন্টা সিঙ্গারা বিক্রি করে। প্রতিদিন ২ টাকার সিঙ্গারা প্রায় ১ হাজার পিচ বিক্রি করে। সিঙ্গারার সাইজ কিছুটা ছোট হলেও খেতে রুচিসম্মত ও মজাদার। এই সিঙ্গারা বিক্রি করে ব্যবসায়ীর পরিবার সচ্ছল।
ব্যবসায়ী মো: ইয়াসিন বলেন, আমার বাবার ব্যবসা এটা। বাবা ২৫ বছর এই ব্যবসাটি খুব সুনামের সাথে করে গেছেন। হঠাৎ আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পরলে আমি ব্যবসার হাল ধরি। আমি আজকে ১০ বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন আমার দোকানে ৩ জন কর্মচারী দিয়ে প্রতিদিন বিকেলে ৩ ঘন্টা সিঙ্গারা বিক্রি করি। আমি নিজেই সিঙ্গারা বানাই। অনেক দূরদুরান্ত থেকে বিভিন্ন উপজেলার লোক এখানে সিঙ্গারা খেতে আসে।
একজনে ২০/৩০ খুব সহজেই খেয়ে ফেলে। এই সিঙ্গারা বিক্রি করেই আমার পরিবার পরিজন সুন্দর মতো চলে। ভাই বোনদের লেখাপড়া, নিজের সংসার খরচ,আত্মীয় স্বজন সবাইকে খুশি রাখতে পারতেছি। সিঙ্গারা বিক্রি করেই আল্লাহ আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে।আলু,সয়াবিন তেল ও ময়দার দাম যদি কম থাকে তাহলে সিঙ্গারার সাইজটা বড় করতে পারমু।
আমার লক্ষ্য ব্যবসায় বেশি লাভ না করে সীমিত লাভ করবো। কাস্টমারদের মজাদার খাবার খাওয়াবো।
ক্রেতা শামীম ভূঁইয়া,জয়নাল, বদিউল আলম বলেন,আমরা প্রায় এখানে সিঙ্গারা খেতে আসি। এই দোকানের সিঙ্গারার মতো আমাদের চাঁদপুর জেলায় আর কোথাও নাই। দামেও অনেক কম,মাত্র ২ টাকা করে বিক্রি করে। এখন সিঙ্গারার পাশাপাশি পুরি,পেয়াজু,আলুর চপ ১ বছর ধরে বানাচ্ছে।বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে বিকেলে প্রতিদিনই দুই টাকার সিঙ্গারা খেতে আসে মানুষ।