নিজস্ব প্রতিবেদক: মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯৩.৩৭%, দাখিলে ৮৭.৮৫% এবং ভোকেশনালে ৯৭.২৯%। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
সূত্র মতে, উপজেলার ২৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৩ হাজার ১শত ৫৭জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২ হাজার ৯শত ৪৮২জন, অকৃতকার্য ২শত ১৬ জন। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২শত ১৬ জন। অপর দিকে ১৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে দাখিল পরীক্ষায় ৫শত ৯৩ জন অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৫শত ২১ জন, অকৃতকার্য ৭২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন। উপজেলার দুটি বিদ্যালয়ের অধিনে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ১শত ৮৫ জন অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১শত ৮০ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উপজেলার ২৮টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাশ করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা চারটি। যার মধ্যে কাচিয়ারা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষা দেয় ৫২জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন। হযরত শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দেয় ১শত ৫৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচজন। কাচিয়ারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দেয় ৪৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচজন এবং কাশিমপুর পূরণ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দেয় ১শত জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচজন।
এছাড়াও এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার মতলব জেবি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ২শত ১১জন, পাশ করেছে ২শত জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন, পাশের হার- ৯৪.৭৯%। মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষায় দেয় ২শত ৫০জন, পাশ করেছে ২শত ৪৬জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন, পাশের হার ৯৮.৪০%। নারায়নপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ২শত ৬১জন, পাশ করেছে ২শত ৪৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন, পাশের হার ৯২.০৫%। বরদিয়া কাজী সুলতান আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ১শত ২০জন, পাশ করেছে ১শত ১৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, পাশের হার ৯৪.১৭%। মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ২শত ৭১জন, পাশ করেছে ২শত ৬১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন, পাশের হার ৯৬.৩১%। বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৬৪ জন, পাশ করেছে ৫৮জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাশের হার ৯০.৬৩%। বোয়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৯৬ জন, পাশ করেছে ৮০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, পাশের হার ৮৩.৩৩%। বহরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৭৫ জন, পাশ করেছে ৭২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন, পাশের হার ৯৬.০০%। নওগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৯০ জন, পাশ করেছে ৮২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন, পাশের হার ৯১.১১%। দগরপুর আঃ গনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৫৮ জন, পাশ করেছে ৫৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, পাশের হার ৯৩.১০%। আশ্বিনপুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ১শত ২৩ জন, পাশ করেছে ১শত ১৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন, পাশের হার ৯২.৬৮%। লাকশিবপুর ফিরোজা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৯১জন, পাশ করেছে ৮০জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন, পাশের হার ৮৭.৯১%। কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ১শত ২৫জন, পাশ করেছে ১শত ২১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন, পাশের হার ৯৬.৮০%। নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ১শত ২২জন, পাশ করেছে ১শত ১০জন, পাশের হার ৯০.১৬%। ধলাতলী জনতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৫৩ জন, পাশ করেছে ৫০জন, পাশের হার ৯৪.৩৩%। আচলছিলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৬৯ জন, পাশ করেছে ৫৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন, পাশের হার ৮১.১৬%। আধারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৯৮ জন, পাশ করেছে ৯০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন, পাশের হার ৯১.৮৪%। নারায়নপুর পপুলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ১শত ১৯ জন, পাশ করেছে ৯৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন, পাশের হার ৮২.৩৫%। আদর্শ স্কুল মতলব থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৫৭জন, পাশ করেছে ৫৫জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬জন, পাশের হার ৯৬.৪৯%। পয়ালী কেবিএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ১শত ৩০জন, পাশ করেছে ১শত ২জন, পাশের হার ৭৮.৪৬%। দিঘলদী এমএ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৭৯ জন, পাশ করেছে ৭৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, পাশের হার ৯৭.৪৭%। লামচরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৪১জন, পাশ করেছে ৩৫ জন, পাশের হার ৮৫.৩৬%। আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ১শত ৪৪জন, পাশ করেছে ১শত ৪২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬ জন, পাশের হার ৯৮.৬১%। ডিঙ্গাভাঙ্গা নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ৬২ জন, পাশ করেছে ৬১ জন,জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন, পাশের হার ৯৮.৩৭%। এছাড়া ভোকেশনাল শাখায় মতলব জে.বি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে থেকে ৮৮ জন পরীক্ষা দিয়ে সকলেই পাশ করেছে এবং মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৯২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন, পাশের হার ৯৪.৮৪%।
দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাশ করেছে দুইটি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে কাচিয়ারা জামালিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩৭ জন পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন এবং নাগদা সুফি আহমেদ মহিলা মাদ্রাসা থেকে ৫জন পরীক্ষা দিয়ে সকলেই পাশ করেছে।
এঝাড়াও মতলব দারুল উলূম ফাজিল মাদ্রাসায় ৫১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন, পাশের হার ৯৬.০৭%। ঘিলাতলী সামাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৮৫ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৭৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন, পাশের হার ৮৮.২৩%। নন্দিখোলা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় ৫২ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৪৩ জন, পাশের হার ৮২.৬৯%। নওগাঁও রাশেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৩২ জনের মধ্যে পাশ করেছে ২২ জন, পাশের হার ৬৮.৭৫%। কালিয়াইশ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৬২ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৫৩জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন পাশের হার ৮৫.৪৮%। খর্গপুর ফাজিল মাদ্রাসায় ৫১ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৪৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন পাশের হার ৯৪.১১%। ধনারপাড় ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৪২ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৩১জন, পাশের হার ৭৩.৮০%। কালিকাপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসায় ৩৯ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৩৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন, পাশের হার ৯২.৩০%। দক্ষিণ করবন্দ দাখিল মাদ্রাসায় ২৬ জনের মধ্যে পাশ করেছে ২৩জন, পাশের হার ৮৮.৪৬%। ঘোড়াধারী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ১৮ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৭ জন, পাশের হার ৯৪.৪৪%। দিঘলদী জাফরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২৬ জনের পাশ করেছে ২৫জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন, পাশের হার ৯৬.১৫%। পূর্ব ধলাইতলী দাখিল মাদ্রাসায় ১৯ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৮ জন, পাশের হার ৯৪.৭৩%। বদরপুর ওএস দাখিল মাদ্রাসায় ২৮ জনের মধ্যে পাশ করেছে ২৩জন, পাশের হার ৮২.১৪%। শতাংশ। রসুলপুর আননিছা দাখিল মাদ্রাসায় ২০ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, পাশের হার ৮০.০০%।