এদিকে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী কাজী মিজানুর রহমানের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার আদালতে এই আবেদন করেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে শুনানী হবে। এরপর আদেশ দেবেন বিচারক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেতা কর্তৃক হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ গত শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে মাথাভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম। ওই সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার পথে বাহাদুরপুর চরে মিছিলকারীদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে কাজী মিজান গ্রুপের লোকজন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) মারা যান।
নিহত মোবারক হোসেন বাবু বাহাদুরপুর গ্রামেরই আবুল হোসেনের ছেলে। গুরুতর আহত ইমরান নিহত মোবারকের ছেলে এবং জহির কবিরাজ একই গ্রামের মনু কবিরাজের ছেলে। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গুলিবিদ্ধ আরো ২জন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া আরো অনেকে ওই হামলায় আহত হন। হামলার শিকার সবাই মায়া চৌধুরীর অনুসারী কর্মী-সমর্থক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেতা কর্তৃক হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ গত শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে মাথাভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম। ওই সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার পথে বাহাদুরপুর চরে মিছিলকারীদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে কাজী মিজান গ্রুপের লোকজন।
নিহতের ভাই আমির হোসেন কালু বলেন, মোহনপুরে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যাওয়ার পথে ইউপি চেয়ারম্যান বালুদস্যু কাজী মিজানের হুকুমে কাজী মতিন ও কাজী হাবিব আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, কাজী মিজানের কর্মীরা মায়া চৌধুরীর সমাবেশে আসার পথে বাধা প্রদান করে ও আমার ভাইসহ মিছিলকারীদের উপর প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এতে আমার ভাই মোবারক হোসেন বাবুসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোবারক হোসেন বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার আগের দিন কাজী মিজানসহ অন্য আসামীরা স্থানীয় বাবুল বেপারীর ঘরে বসে সমাবেশ বানচালের সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার সময় কাজী মিজানুর রহমানের হুকুমে তার ভাই কাজী আব্দুল মতিন শর্টগান দিয়ে মোবারক হোসেন বাবুকে গুলি করে। এরপর কাজী হাবিবুর রহমানও শর্টগান দিয়ে মোবারক হোসেন বাবুকে গুলি করে। আসামীরা তাদের হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে অন্যান্য নেতা-কর্মী-সমর্থকদেরও এলোপাথারি গুলি করে।
এ ঘটনায় পরদিন রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহত যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেনের ভাই আমির হোসেন কালু বাদী হয়ে ৩১জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০জনকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ এই মামলায় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিজানুর রহমানসহ এজাহারভুক্ত ৭ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। ওইদিন বিকেলে তাদেরকে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হলে আদালত জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরপর বাবুরহাটস্থ চাঁদপুর জেলা কারাগারে নেওয়া হয় তাদেরকে।
গ্রেফতারকৃত অন্য আসামীরা হলেন- বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী মুছা গাজী (৩০), মো. জুয়েল কবিরাজ (১৯), ছাবিয়া বেগম (৪৫), আনোয়ার শেখ (৪৫), মোশারফ মিজি (৭০) ও শাহিনা বেগম (২৬)। গ্রেফতারকৃত আসামীরা কাজী মিজান গ্রুপের লোক ও অনুসারী।
গ্রেফতারকৃত কাজী মিজানুর রহমান আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার আলোচিত বালু উত্তোলনকারী। বিগত ইউপি নির্বাচনে প্রথম নৌকা প্রতীক পেলেও পরে দলীয় সভানেত্রী তার দলীয় মনোনয়ন বাতিল করেন। এরপর দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করে তিনি বিজয়ী হন।
নিহত মোবারক হোসেন বাবু বাহাদুরপুর গ্রামেরই আবুল হোসেনের ছেলে। গুরুতর আহত ইমরান নিহত মোবারকের ছেলে এবং জহির কবিরাজ একই গ্রামের মনু কবিরাজের ছেলে। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গুলিবিদ্ধ আরো ২জন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া আরো অনেকে ওই হামলায় আহত হন। হামলার শিকার সবাই মায়া চৌধুরীর অনুসারী নেতা-কর্মী-সমর্থক।