মোঃ আলমগীর হোসেনঃ
হাইমচর উপজেলার ২ নং আলগী উত্তর ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন পেতে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সরকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সবায় প্রকাশ্য জন্ম নিবন্ধন পেতে হলে ৪/৫ শত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ সর্বত্র আলোচনার ঝড় বইছে।
গত ২৪ মে মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার আয়োজনে হাইমচর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে স্থানীয় সরকার জবাবদিহি ও কার্যকর বিষয়ে গনশুনানীতে উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা ফ্যাসিলিটর সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে গনশুনানীতে বিভিন্ন সেবা ও অনিয়ম বিষয়ে ২ জন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন আলগী উত্তর ইউনিয়ন জন্ম নিবন্ধ নিতে হয়রানি হতে হয়, ৪/৫ শত টাকার বিনিময়ে জন্ম সনদ পাওয়া যায়, এখন নতুন করে আবার শুরু করেছে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে, ৫ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স ৫/৭ হাজার টাকা আদায় করে জন্মনিবন্ধন দেয়। তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার হয়রানী বন্ধ এবং জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়।
এই ঘটনা মিডিয়া কর্মীরা সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সর্বত্র আলোচনার ঝড় উঠে, সর্বস্তরের মানুষজন জন্ম নিবন্ধন পেতে অনিয়ম দূর করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া বন্ধ করার কথা দাবী জানায়। অনেকেই আলগী উত্তর ইউনিয়নে জেলে চাল বিতরনে চাল কম দেয়া, খরচের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া, রেশন কার্ড দেয়ার কথা বলে দালাল মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, এবং হোল্ডিং ট্যাক্স নামে মানুষ জনকে হয়রানি সহ নানান অনিয়ম বিষয়ে তথ্য দিতে থাকেন।
জন্ম নিবন্ধন পেতে হয়রানী ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং সুধীজন আলগী উত্তর সহ সকল ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়রানি বন্ধে সচিত্র সংবাদ প্রকাশের দাবী উঠে।
আলগী উত্তর ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন ও সেবা পেতে অনিয়ম ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সুবিধাবাদী ( জেলা পরিষদ এর বরাদ্দ, এমপির টিআর কাবিখা বরাদ্দ খেয়ে মোটা তাজা হওয়া) ইউনিয়ন পরিষদ এর দালাল চক্রের গাত্রদাহ শুরু হয়। এই দালাল চক্র সাম্প্রতিক সময়ে ২ ভাগে ভাগ হয়ে কেউ এমপির পক্ষে আবার কেউ এমপির বিপক্ষে কূৎস্যা রটায়, এরা সকলেই ইউনিয়ন পরিষদ এর সুবিধাভোগী হিসেবে সকলেই এক কাতারে