শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জে আকাশচুম্বী বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহকের মাটিচাপা ভোগান্তি সালিশ মানে না, রায় মানে না। কারা চালায় এমন অদৃশ্য শাসন ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ আটক ৩ মতলব দক্ষিণে ভুট্টার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা মতলব দক্ষিণে ২ টাকার সিঙ্গারায় ভাগ্য পরিবর্তন ইয়াসিনের প্রেমের টানে ফরিদগঞ্জে মুসলিম মেয়ের বাড়িতে হিন্দু তরুণী ১৭ জন শিক্ষার্থীর স্বপ্নের সারথি হলে স্বপ্নের ফরিদগঞ্জ সংগঠন ফরিদগঞ্জ মানবসেবা ফাউন্ডেশন পথচারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ সম্পন্ন ফরিদগঞ্জে পৌর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এক্স  স্টুডেন্ট ক্লাব চাঁদপুরের  ইফতার ও দোয়া মাহফিল

সালিশ মানে না, রায় মানে না। কারা চালায় এমন অদৃশ্য শাসন

reporter / ২৯ ভিউ
আপডেট : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

ফরিদগঞ্জে বিচারের রায় পেলেও শান্তি মেলেনি প্রবাসী পরিবারের ।। বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক 
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি : ফরিদগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আদালতের রায় পাওয়া সত্ত্বেও প্রবাসীর ঘর নির্মাণে বাধা, হুমকি ও হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য।
ঘটনাটি উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলী এলাকায়। প্রবাসফেরত শরীফ হোসেন জানান, বিএস-৭৭৫ নং খতিয়ানের ৫১০১ দাগে তার মালিকানাধীন জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করলে প্রতিবেশী রফিক ও শফিকুর ইসলাম আদালতে ১৪৫ ধারায় আবেদন করেন। আদালত তদন্ত শেষে শরীফের পক্ষে রায় দেন এবং প্রতিবাদীদের আবেদন খারিজ করে দেন।
প্রাপ্ত কপি অনুযায়ী, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে চাঁদপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশে বলেন, “আবেদনকারী পক্ষের প্রমাণের অভাবে ১৪৫ ধারা বাতিল করা হলো।”
তবে আদালতের রায় সত্ত্বেও শরীফ হোসেনের পরিবার ঘর নির্মাণ শুরু করলে অভিযুক্ত রফিক-শফিকুরদের পক্ষ থেকে  বাধার সৃষ্টি করা হয়। এক পর্যায়ে শরীফ হোসেনের বাবা মো. রুহুল আমিন গত ২১ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা বাহির থেকে লোক এনে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে, পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং নির্মাণকাজে বাধা দেয়। তিনি আরও জানান, আদালতের রায়ের কপি দেখানো হলেও তারা তা মানেননি।
স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হলেও প্রতিপক্ষ পরিবার সিদ্ধান্ত মানেনি বলে জানান বাসিন্দারা। এলাকার লোকমান হোসেন দর্জি বলেন, ‘আদালতের রায় অনুযায়ী সালিশে উভয় পক্ষের সমঝোতা হয়েছিল, কিন্তু রফিক-শফিকুরের পরিবার তা মানে না।’
প্রতিবেশী রহিমা বেগম বলেন, ‘ওই দিন হঠাৎ চিৎকার শুনে এগিয়প গিয়ে দেখি রফিকের মা আমাকে গালমন্দ করছেন। পরে শুনি, নিজের শাশুড়িকে ব্লেড দিয়ে আঘাত অন্যদের উপর চাপানো হয়েছে।’
স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, আদালতের রায় কার্যকর করে যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভুক্তভোগী পরিবার তাদের ঘর নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারে।


এই বিভাগের আরও খবর