শিরোনাম:
চাঁদপুর -ফরিদগঞ্জ সড়কে বালুবাহী মিনি ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১ বর্ণিল আয়োজনে চাঁ.স.ক শিবিরের প্রকাশনা উৎসব কচুয়ায় একটি বাড়ি নিয়ে ‘ধৈয়ামুড়ি’ গ্রাম স্কুল মাঠে খেলতে গিয়ে আ*গু*নে ঝলসে যাওয়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে ফরিদগঞ্জে নোয়াপাড়া নাইট মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন— মতলবে শিশু আদিবার হ*ত্যা*কারী ইমনের বসত*ঘর পুড়ি*য়ে দিলো উত্তে*জিত জনতা মতলব দক্ষিণে উষার স্পোটিং ক্লাবের কর্যালয়ে হামলা ও ভাং*চুর অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মতলবে জহির মিজির সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য লিফটের বিতরন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত

সালিশের নামে ডেকে নিয়ে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

reporter / ১২৭ ভিউ
আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

চাঁদপুর প্রতিনিধি।।
সালিশের নামে ডেকে নিয়ে সেকান্দর খান (সেকা খাঁ) নামের এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার মাথার একাংশ রক্তাক্ত জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ১০ এপ্রিল রোববার তারাবির নামাজের পর মেঘনার নদীর পশ্চিম চরে আফামোল্লার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সেকান্দর খান দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং মতি খাঁর কান্দির মরহুম নূর মো. খানের পুত্র।

আহত ইউপি সদস্য সেকান্দর খানের পুত্র কবির হোসেন জানায়, রোববার রাতে তারাবি নামাজের পর নুরু সরকারের নামে একজন আমার বাবাকে সালিশের কথা বলে মোবাইলে ফোন করে বাজারে ডেকে নিয়ে যায়। অনেকক্ষণ পর শুনতে পাই সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে খুন করে কার লাশ গুম করে ফেলছে। এরপর গ্রামবাসী এবং আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা মিলে বাজার থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারা আমার বাবার মাথায়, হাতে সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে।

এ বিষয়ে আহত ইউপি সদস্য সেকান্দর খান বলেন, সালিশ আছে বলে তারা আমাকে ফোন করে বাজারে ডেকে নেয়। সেখানে যেতেই পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা হোসেন বেপারীর নির্দেশে নুরু সরকার এবং তার ছেলে আমির সরকারসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলে পড়ে। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা দাম দা’সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এই হামলা হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসা জানান, আহত ইউপি সদস্যের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ক্ষতস্থানে ৬টি সেলাই করা হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় জখম করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা খুব বেশি সুবিধাজনক নয়। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে আহত ইউপি সদস্যকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন, পার্শ্ববর্তী রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী, চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির পরিচালক ইয়াকুব খান, যুবলীগ নেতা শাহজালাল বন্দুকশী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন দেওয়ানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ বিষয়ে আহত ইউপি সদস্য সেকান্দার খানের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।


এই বিভাগের আরও খবর