কচুয়া উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের সফিবাদ গ্রামে সরকারি খাস জমি দখলদার কাউছার আলম রুবেল তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাড়ি নির্মাণ ও সীমানা প্রাচীর তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তিগন সফিবাদ পশ্চিমপাড়ার আব্দুল মবিন মাষ্টারের বাড়ির পারুল বেগমের ছেলে। উক্ত ভূমিটি উত্তর পালাখাল মোড় হতে সিংআড্ডা সড়কের সফিবাদ পশ্চিমপাড়া আব্দুল মান্নান মিয়াজীর বাড়ি সংলগ্ন আর এস-১০৫, খতিয়ান-বিএস ৫০৮ খতিয়ানের ৬৮২দাগ যা সরকারি খাস ভূমি।
জনস্বার্থে আরএস ১০৫ খতিয়ানের ৫০৯ দাগের জমাকৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে (৭.৪৫ শতাংশ) রাস্তাটি নির্মিত হয়। শর্ত মতে প্রকৃত মালিকদের ক্ষতি পূরণ হিসেবে মৌখিক ভাবে ৬৮২ দাগের ৮.২৮ শতক সরকারি খাস ভূমিটি ভোগ দখল করার অনুমতি প্রদান করে। যার ফলে উক্ত ভূমি মৃত ফজল আলীর ওয়ারিশ গন ভোগদখল করে আসছে। ২০০৬ সালে ৬৮১ দাগে ১৫ শতাংশ ভূমি মৃত ফজল আলীর ওয়ারিশ গন একই গ্রামের কামাল হোসেন মোল্লার নিকট বিক্রি করে দেন। কামাল হোসেন মোল্লা পরবর্তীতে ২০২২ সালের শেষের দিকে ওই সম্পত্তি প্রবাসী কাউছার আলমের কাছে পূনরায় বায়না পত্র দলিলে বিক্রি করেন। বর্তমানে কাউছার আলম ওই ভূমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। এবং পার্শ¦বর্তী ৬৮২ দাগে চারদিকে সিমানা বাউন্ডারি দিয়ে দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন বলে স্থানীয় লোকজন ও পূর্বের দখলদার মালিক পক্ষ জানান।
এ ঘটনায় জমির মূল মালিক পক্ষের ওয়ারিশ পাথৈর গ্রামের ছাদেক মিয়া বাদী হয়ে চাঁদপুরের মোকাম বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার দ.মো নং-১২৫৪/২৩। মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে উল্লেখিত স্থানে স্থিতিবস্থায় বজায় রাখতে নালিশী ভূমি দখল বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদনের দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
বর্তমানে কাউছার আলম জোরপূর্বক সরকারি খাস জায়গা দখলের চেষ্টার ঘটনায় তা উদ্ধারে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত কাউছার আলম জানান, ৬৮১ দাগে আমরা সম্পত্তি ক্রয় করে বিল্ডিং নির্মানের কাজ করছি। পাশে খাস জমি থাকলে সরকার যেকোনো সময় চাইলে ছেড়ে দিবো। অন্যদিকে উল্লেখিত দাগে বিজ্ঞ আদালতের স্থিতিবস্থা থাকা সত্ত্বেয় জোর পূর্বক স্থাপনা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে কাউছার আলম গংদের বিরুদ্ধে।