এক বাবা ও মায়ের কান্না শুধু নিজের কন্যা সন্তান শিশু নুসরাত জাহানকে বাঁচাতে। দারিদ্র্যতার কষাঘাতে হার মানতে যাচ্ছে চিকিৎসার ব্যয় বহন। ২ বছর বয়সী এ শিশুটিকে বাঁচাতে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে পরিবারের সদস্যরা আকুতি করেছেন। শিশু নুসরাত জাহান তার দুটি কিডনি নষ্ট হওয়ায় জীবন সংকাটাপন্ন জীবন কাটাচ্ছেন। বলছি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সেঙ্গুয়া গ্রামের সিকদার বাড়ির দরিদ্র হোটেল কর্মচারী শাহীন আলম ও মা ইয়াসমিন বেগমের কন্যা নুসরাত জাহানের কথা।
জানা যায়, শিশুটির বয়স মাত্র ২ বছর তিন মাস। ছোট্ট এ বয়সে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন কাটছে দুবির্ষহ। শিশুটির জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কচুয়া ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকের মাধ্যমে জানতে পারেন তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে বর্তমানে তার কিডনি প্রতিস্থাপন না করা হলে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছে । তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। পরিবারের দারিদ্র্যতার কারনে শিশু নুসরাত জাহানের চিকিৎসা চালাতে হিমসিম খাচ্ছে।
প্রতিবেশীরা জানান, তিন মাসে আগে শিশু নুসরাত জাহানের শরীরে এলার্জির মতো ফুলা দেখা দেয়। পরে স্থানীয় ভাবে তার চিকিৎসার জন্য কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার দুটি কিডনি প্রায় অকোজো হয়ে যায়। শিশুটির বাবা অত্যান্ত দরিদ্র। দরিদ্র্যতার কারনে শিশুটি চিকিৎসা করাতে অসম্ভব। বর্তমানে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা প্রয়োজন। সমাজের জনপ্রতিনিধি,বিত্তবান ও প্রশাসনের সহযোগিতা করেছেন তারা।
নুসরাত জাহানের বাবা শাহিন আলম বলেন, আমি একজন হোটেল কর্মচারী। অনেক কষ্টে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছি। আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৯৭১৭২৫৮৫৪ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন পরিবারের সদস্যরা।