শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জে আকাশচুম্বী বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহকের মাটিচাপা ভোগান্তি সালিশ মানে না, রায় মানে না। কারা চালায় এমন অদৃশ্য শাসন ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ আটক ৩ মতলব দক্ষিণে ভুট্টার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা মতলব দক্ষিণে ২ টাকার সিঙ্গারায় ভাগ্য পরিবর্তন ইয়াসিনের প্রেমের টানে ফরিদগঞ্জে মুসলিম মেয়ের বাড়িতে হিন্দু তরুণী ১৭ জন শিক্ষার্থীর স্বপ্নের সারথি হলে স্বপ্নের ফরিদগঞ্জ সংগঠন ফরিদগঞ্জ মানবসেবা ফাউন্ডেশন পথচারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ সম্পন্ন ফরিদগঞ্জে পৌর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এক্স  স্টুডেন্ট ক্লাব চাঁদপুরের  ইফতার ও দোয়া মাহফিল

মৈশাদীতে হঠাৎ ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন আতঙ্কে মানুষজন

reporter / ১৫৫ ভিউ
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
নদীর ভাঙন

চাঁদপুর সদরের সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে খ্যাত মৈশাদী ইউনিয়নের মৈশাদীতে শুরু হয়েছে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন। ওই গ্রামের ইউসুফ খান বাড়ির পূর্ব পাশে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদী ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। গত তিন দিনে ডাকাতিযার করাল গ্রাসে তলিয়ে গেছে প্রায় এক শত মিটার এলাকা। যার কারণে স্থানীয় জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে এলাকাটি।

তারা জানান, ডাকাতিয়া নদী প্রতিবছর অল্প অল্প করে ভাঙ্গে । গত এক দশকে শুধু মৈশাদীতেই ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে প্রায় এর্ক কিলোমিটার এলাকার অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি । এত ক্ষতির পরও বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে যায়। অচিরেই নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভিটেমাটি হারিয়ে রাস্তায় বসবাস করতে হবে ওই এলাকার নদীর পাশে বসবাসকারী প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারকে।

ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন সম্পর্কে নদীর পাশে বসবাসকারী আবুল বাশার বলেন প্রতিবছর নদী আমাদের জমি একটু একটু করে ভেঙ্গে নিয়ে যায়। আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সকলকে অবহিত করেছি। সবাই আশ্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু কাজ হয় না। অল্প অল্প করে ভাঙ্গে তাই কেউ আমাদের দিকে নজর দেয় না। গত ১০ বছরে আমাদের এলাকার এক কিলোমিটারের মত জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। ছিন্নমুল হয়ে গেছে প্রায় শতাধিক পরিবার। এখন আমাদের ভিটেবাড়ি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। বাড়িটা নদীতে তলিয়ে গেলে থাকবো কোথায় জানিনা। আমার কাছে এত টাকাও নেই যে, আবার অন্য কোথাও জমি কিনে ঘর তুলব। বাড়িটা ভেঙে গেলে রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হবে।

ভাঙ্গন এলাকায় বসবাসকারী আসমা বেগম জানান এখন নদীটি যেখানে ভাঙছে সেখানে আমাদের বসত ঘর, রান্নাঘর ছিল। প্রতিবছর এখানে নদীতে ভাঙ্গে। তাই গত বছর ঘরগুলো সরিয়ে নিয়েছি। এরপর আর জায়গা নেই। নদীতে ভাংলে কি করব জানিনা।

নদী থেকে প্রায় একশত মিটার দূরত্বে রয়েছে রেল স্টেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজারসহ অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি। নদী ভাঙ্গন রোধ না হলে হুমকির মুখে পড়বে এসব প্রতিষ্ঠান ও নানা স্থাপনা। তাই তারা নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। সাথে নদী ভাঙ্গন রোধে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

স্থানীয় মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান,ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনের বিষয়টি বহুবার কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিভিন্ন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার ও সচিত্র প্রতিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু মৈশাদীবাসীর দু:খ লাগব হয়নি একটুও ।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান,ভাঙনের বিষয়টি জেনে আমি আমার দপ্তরে লোক পাঠিয়েছি । আজ কালের মধ্যে আমি ভাঙন স্থলে যাব ।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান ডাকাতিয়া নদীর বেশ কয়েকটি এলাকা ভাঙন রোধে একটি ডিপিপি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এটি পাস হলেই ভাঙন রক্ষায় কাজ করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর