শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে ঘুরছেন বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে চাঁদপুরের ৮ উপজেলা সহ দেশের ৪৯৫ টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারন চাঁদপুর জেলার ৭টি সহ সারাদেশে ৩২৩ পৌরসভার মেয়র অপসারণ ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত ২০ কচুয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটেছে সুন্দরবন -১৬ লঞ্চের, নারী নিখোঁজ ষোলঘর আদর্শ উবি’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডঃ হুমায়ূন কবির সুমন কচুয়ায় নবযোগদানকৃত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শিক্ষক সমিতি শুভেচ্ছা মতলব উত্তরে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা উপাদী উত্তর ইউনিয়নে দীপু চৌধুরীর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া

আত্মসাৎ করেছে নিজেরই অর্ধাঙ্গীনি!

reporter / ১৬৬ ভিউ
আপডেট : শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২

মতলব উত্তরে স্ত্রী রোজিনার পরকীয়া ও প্রতারণায় সর্বশান্ত প্রবাসী স্বামী! 
মতলব উত্তর প্রতিনিধিঃ 
প্রবাসে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন প্রবাসী শহিদ আলম। স্বপ্ন ছিলো প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে নিজস্ব কোন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করে পরিবারের যোগান দিবেন। কিন্তু হতভাগা শহিদ আলমের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছেন স্ত্রী নিজেই। কে জানত? প্রবাসের কষ্টার্জিত অর্থে ঘাপটি মেরে আত্মসাৎ করবে নিজেরই অর্ধাঙ্গীনি! ঘটনাটি মতলব উত্তর উপজেলায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, স্ত্রী রোজিনা প্রতারণা করে প্রবাসী স্বামী শহিদ আলমের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, পাশাপাশি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ কারনে ভেঙে যাচ্ছে ২২ বছর প্রবাসী শহিদ আলমের স্বপ্ন।
জানা গেছে, উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বড় মরাধন গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাইজ উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী শহিদ আলমের স্ত্রী রোজিনা প্রতারণা করে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এমনকি শহিদ আলমের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। আবার গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে স্ত্রী রোজিনা ও তার মা। স্ত্রীর এমন ঘটনা দেখে দিশেহারা স্বামী। ভুক্তভোগী স্বামী শহিদ আলম ও তার স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্ত্রীর এমন কার্যকলাপ দেখে স্বামী চাঁদপুর জেলা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে অক্টোবর মাসে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক শহিদ আলম ও রোজিনা আক্তারের সাথে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে শুভ নামে ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছরের সংসারে স্ত্রী রোজিনা একাধীকবার বাহানা দিয়ে স্বামীর নিকট টাকা চাইতো। স্ত্রীর সুখের কথা চিন্তা করে ধার দেনা করেও টাকা পাঠাতো। ৯ বছরের প্রায় অর্ধকোটি টাকা পাঠিয়েছে শহিদ আলম। বিয়ের আগে জমানো টাকাও স্ত্রী কে দিয়েছে ঢাকাতে ফ্ল্যাট কিনবে বলে। সেই দলিল ও টাকার হিসাব চাইতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। স্ত্রী বিভিন্ন ছলচাতুরি শুরু করে। এমনকি পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন রোজিনা। স্ত্রীর বেপরোয়া জীবন যাপনের ফলে শহিদ আলম বাধ্য হয়ে ৪ঠা মার্চ দেশে আসে এবং ২৪ মার্চ চাঁদপুর আদালত একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
শহিদ আলম জানান, আমার স্ত্রী রোজিনা যখন যা চাইতো আমি তা দিতাম। তার কোন দাবী আমি অপূর্ণ রাখতাম না। বিভিন্ন সময় স্বর্ণালংকার, মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংকের মাধ্যমেও টাকা পাঠিয়েছি। তারপরও রোজিনা ছেংগারচর পৌরসভার দেওয়ানজিকান্দি গ্রামের মৃত হাসেম ঢালীর ছেলে রবিউলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। এমনকি তারসাথে বাসা ভাড়া করে ঢাকায় বসবাস করে। ফ্ল্যাট কিনার নামে যে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছে তাতে ফ্ল্যাট কিনেনি। আমার টাকা দিয়ে দুই শ্যালিকাকে বিয়ে দিয়েছে। শশুরকে বিদেশ পাঠিয়েছে, গরু কিনে দেওয়া হয়েছে এবং শশুর বাড়িতে দালান করা হচ্ছে। আমার সারা জীবনের অর্জিত প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব। ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার জীবনের স্বপ্ন। আমি এ প্রতারণার সঠিক বিচার চাই। তাদের বিষয় নিয়ে এলাকায় একাধিক বার সালিশ দরবারও হয়েছে। স্ত্রীকে সঠিক পথে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গদের নিয়ে বারবার চেষ্টা করলেও স্ত্রী সঠিক পথেই আসেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জনি শিকদার বলেন, তাদের এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক ভাবে সমাধান করার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। শহিদ আলমের স্ত্রী ও তার পরিবার কারো কথাই শুনেনা।
সোনাইরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণ ব্যক্তি হাজী আলী আকবর জানান, রোজিনা নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে শহিদ আলমের পুরো পরিবারটা সর্বশান্ত করে ফেলেছে। এমনকি শহিদুলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেছে বলে শুনেছি; যা সত্য নয়। সে তার অপকর্ম ঢাকার জন্য এ মামলার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা গ্রামবাসী তাদেরকে সর্তক করে দিয়েছে যে এধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকলে সমাজে বসবাস করতে পারবেনা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদ আলমের স্ত্রী রোজিনার বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা বলছে আমার মেয়েদের বিয়ে দিতে কোন যৌতুক দিতে হয়নি। আর আমার স্বামী প্রবাস থাকে সেই অর্থ দিয়ে দালান করা হচ্ছে।


এই বিভাগের আরও খবর