নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভরা মৌসুমে কাঁচা সবজির বাজার সয়লাভ হলেও কমছেনা দাম, এতে করে নিরুপায় হয়ে মানুষ নিত্যপণ্য কিনে খাচ্ছে, পবিএ মাহে রমজানের আগে কাঁচা সাক সবজির বাজার কম থাকলে ও বর্তমান সময়ে সবজির লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাচ্ছে।
সরজমিন চাঁদপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর কাঁচা সবজির আমদানি আছে, কিন্তু পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকার ব্যবধান রয়েছে, শহরের পুরানবাজার, পালের বাজার নঁতুন বাজার,বিপনীবাগ বাজার,ওয়ারলেস, ও বাবুরহাট বাজার গুলিতে ভিন্ন ভিন্ন দর,
আলুু ও টমেটো হাতের নাগালে থাকলে ও, রমজানের পণ্য লেবুর হালি ১ শ টাকায় উঠেছে, যদিও শুক্রবারের বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছে, তার সাথে পোটলের কেজি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দোল ৫০-৬০ টাকা,ঢেড়শ ৪০-৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০-৬০ টাকা বা তারও বেশি, করলা ৪০-৫০ বা ৬০ টাকা, শশা ৫০-৭০ টাকা, পুইশাক কেজি প্রতি ৪০ টাকা, ডাটার ৪ পিচের আটি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০-৪০ টাকা, লাল শাকের কেজি ৩০-৪০ টাকা,কাঁচা কলার হালি প্রতি ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০ টাকা বা তার বেশি।
তবে লক্ষ করা গেছে, একেক বাজারে একেক ধরনের দামে বিক্রি হচ্ছে, পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছে কাঁচা সবজি ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে, আর খুচরা বাজার দোকানীরা বলছে আমরা বেশি দামে কিনে আনি বলে বেশি দামে বিক্রি করি, তাছাড়া তারা আরো বলেন, সবজি উৎপাদন কমে গেছে অনেক চাষিরা বীজ ও সারের দাম বেশি বলে সবজি চাষ করেন না, যেখানে বর্ষাকালে সবজির দাম কম থাকে, সেখানে সবজি উৎপাদনের সময়ে মূল্য বৃদ্ধি নজিরবিহীন বলে সচেতন মহল মনে করেন, যদিও চলতি সময়ে আলুর কেজি ১৫ টাকা আর টমেটো ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, বাকি সকল সবজি এখন চড়াও দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের, রমজানের বাড়তি খরচ মিটাতে যতটা হিমশিম খায় মানুষ, ঠিক তার চেয়ে বেশি হিমশিম খায় কাঁচা সবজি কিনতে গিয়ে। শহরের বাজার গুলিতে উল্লেখ যোগ্য মূল্য হলেও গ্রাম অঞ্চলের হাট বাজার গুলিতে আরো ৫-৮ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হতে দেখা যায়,
বিশেষ করে কাঁচা কলার হালিতে দাম শোনে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে, অন্যান্য সবজি যেমন তেমন হলে কাঁচ কলা মানুষ কে কাঁচ কলা দেখায় বলে ক্রেতারা বলেন, এমন ভাবে বাড়তে থাকলে লাগামহীন দৌড় শুরু হবে কাঁচা সবজির বাজার, তবে পাইকারি বাজারে সবজির বিবরণের কোন নির্ধারিত বাজার দরের তালিকাসূচী নেই, এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন প্রতিদিন কাঁচা মালের বাজার ওঠা নামা করে, যার কারনে একেক দিন একেক দামে ক্রয় করতে হয় বলে তালিকা মূল্য ব্যবহার করি না, সচেতন মহল মনে করেন এই অজুহাতে ফায়দা লুটে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা সহ দোকানীরা, তবে বাজার মনিটরিং গতিবেগ চলমান থাকলে ওই সব অসাধু ব্য্যবসায়িরা এই ভাবে মানুষের পকেট কাটতে পারতো না, আমরা মনে করি এ বিষয়ে বাজার মনিটরিং করে নির্ধারিত তালিকার মূল্য সাটিয়ে দেওয়া হলে, কাঁচা সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে, আর তা না হলে দিনের পর দিন হাকিয়ে মূল্যবৃদ্ধির অগ্রগতি আরো বেড়ে যাবে।