মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ছেংগারচর বাজারের মধ্যে রয়েছে একটি সরকারি পুকুর। সেই পুকুরটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে বাজারের সকল ময়লা-আবর্জনা স্তুপ করে ফেলা হচ্ছে এই পুকুরটিতে। পরিবেশ দিবস আসে পরিবেশ দিবস চলে যায় কিন্তু এই পুকুরের দিকে কেউ আর নজর রাখেনা।
অযত্নে আর অবহেলায় পুকুরটি এখন প্রাণহীন অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিন ছেংগারচর বাজারের এই পুকুরটিতে শত বছর থেকে ব্যবসায়ীরা পানি ব্যবহার করত। এই বাজারে ছোট বড় মিলে প্রায় দেড় হাজারের অধিক দোকানপাট রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বাজারের সেই পুকুরটিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি না থাকায় সেটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারিদিকে। দূষিত করছে আশপাশের পরিবেশ। এই পুকুরের তিনদিকে রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর পূর্ব দিকে রয়েছে ছেংগারচর পৌর ভূমি অফিস, পাশেই সরকারি গরুর হাট।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ নাজিম দর্জি, মোঃ রবিউল্লা জানান, ছেংগারচর বাজারের ব্যবসায়ীরা পুকুরের পানি ব্যবহার করে গোসল, নামাজের ওযু, সবজি ধৌত করতেন। বর্তমানে এই পুকুরে কোন পানিই নেই আছে শুধু ময়লা আর আবর্জনা।
এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাজারের চারপাশে। বাজারের ভেতরে নির্দিষ্ট কোন ডাস্টবিন বা ময়লা ফেলার স্থান না থাকায় কতিপয় দুষ্ট লোক এই পুকুরে ময়লা ফেলে পুকুরটিকে ডাস্টবিনে পরিণত করেছেন।
ছেংগারচর বাজারের পৌর বনিক সমিতির সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, এটি সরকারি বাজারের পুকুর। বাজারে কোন অগ্নিকাণ্ড ঘটলে যে পুকুর থেকে পানি পাওয়া যেত সেটি এখন ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। পুকুরটি পরিস্কার করে পুরনো পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টি একাধিকবার তুলে ধরেছি। বাজারের ব্যবসায়ী ও মানুষের স্বার্থে অচিরেই যেন এই পুকুরটি পরিস্কার করা হয় সেজন্য প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আল-এমরান বলেন, খালি জায়গা পেয়ে মানুষ এখানে ময়লা আর্বজনা ফেলছে। আমরা অচিরেই এখানে বনায়ন করবো এবং পৌর ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনদের বসার স্থান করে দিবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান বলেন, এখানে পুকুর থাকলে এটি ভরাট করার কোন অনুমতি নেই। কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।