শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে ঘুরছেন বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে চাঁদপুরের ৮ উপজেলা সহ দেশের ৪৯৫ টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারন চাঁদপুর জেলার ৭টি সহ সারাদেশে ৩২৩ পৌরসভার মেয়র অপসারণ ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত ২০ কচুয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটেছে সুন্দরবন -১৬ লঞ্চের, নারী নিখোঁজ ষোলঘর আদর্শ উবি’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডঃ হুমায়ূন কবির সুমন কচুয়ায় নবযোগদানকৃত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শিক্ষক সমিতি শুভেচ্ছা মতলব উত্তরে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা উপাদী উত্তর ইউনিয়নে দীপু চৌধুরীর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া

মতলব উত্তরে ইরি-বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক

reporter / ১৭৩ ভিউ
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

 

মতলব উত্তর ব্যুরো
দেশের অন্যতম বৃহত্তম সেচ প্রকল্প মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে ও পুরো মৌসুমে সময়মত পানি পেলে ফলন ভাল হবে বলে আশা করছে তারা।
উপজেলার ঠাকুরচর, আদুরভিটি, মরাদোন, রাঢ়ীকান্দি, ইসলামাবাদ, ফতেপুর, গজরা, লতরদি, দূর্গাপুর, ইছাখালী, নাউরীসহ অন্তত ১০ বিল ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা দলে দলে ধান রোপন করছে। ভোর থেকে সন্ধ্যা গড়ানো পর্যন্ত মাঠে সময় কাটাচ্ছে তারা। বসে নেই কৃষাণীরাও। বীজতলা থেকে চারা উত্তোলনে ঘর ছেড়েছেন নারী ও শিশুরাও।
কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতে পানি পেয়েছি। সমসয়মত আবাদ শুরু করতে পেরে ভাল লাগছে। পুরো মৌসুমে টানা পানি পাওয়া অব্যাহত থাকলে আশা করি ফলন ভাল হবে।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ প্রকল্পে এবার আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ২শ’ হেক্টর। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৪শ’ ২৬ মেট্রিক টন চাউল। এরমধ্যে ব্রি-২৮, ২৯, ৫৮, ৬৯, ৬৩, ৬৪, ৭৪, ৭৫, বিআর-৩, ১৬ এবং ভোজন, আলাল ও কালী বোরো জাতের ধান চাষ করা হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে এ উপজেলার খাদ্য চাহিদা মিটবে এবং জাতীয় গ্রিডেও ধান দেওয়া সম্ভব হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, যথাসময়ে রোপন শুরু হয়েছে। হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ১৩ টি জাতের বীজ রোপনে এখন ব্যস্ত কৃষকরা। আমরা সার্বিক তদারকি করছি। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে আশা করি ফলন ভাল এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস জানান, আমরা প্রতিটি মৌসুমেই সঠিক সময়ে পানি সরবরাহ করে থাকি এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে জাতীয় গ্রিডেও খাদ্য দিতে পারছি। বোরো মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত পানি সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। আশা করি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।


এই বিভাগের আরও খবর