নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত কয়েকদিন ধরে মতলব উত্তর উপজেলায় অব্যাহত রয়েছে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম। মানুষদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস। সেই সঙ্গে অসহনীয় গরমের ফাঁদে পড়ে রিকশাভ্যান চালকসহ অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষগুলোর কমেছে আয়-উপার্জন। এর ফলে থমকে গেছে তাদের জীবনযাত্রা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায় তীব্র গরমের শিকার মানুষদের হাঁসফাঁসের চিত্র। এসময় জীবিকার তাগিদে বের হওয়া রিকশাভ্যান চালকরা তাদের ঘামঝড়া দেহ নিয়ে হাঁপাচ্ছিলেন।
দেখা যায়, মতলব উত্তর উপজেলায় টানা এক সপ্তাহজুড়ে দিনের বেলায় প্রখর রোদের ঝলকানি। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠসহ বাসা-বাড়ি ও পথঘাট। দেখা নেই বৃষ্টির। যার ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনী গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষেরা কোন কাজই মনোযোগি হতে পারছে না। তীব্র গরমের তাদের কমেছে কর্মদক্ষতা। শ্রম দিয়ে ঠিকভাবে কোন কাজকর্ম করতে পারছে না। তবুও রোজকার লড়াইয়ে ছুটছে এদিক-সেদিক। বিশেষ করে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকরা জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরুলে রোদ-ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। বাধ্য হয়ে তারা ফিরছে বাড়িতে। এর ফলে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এর পাশাপাশি বাড়ছে নানান রোগবালাই। তাই তীব্র তাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে।
রিকশাভ্যান চালক মোশারফ হোসেন বলেন, ভাদ্রের এই তীব্র রোদের কারণে গাড়ী চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। যার ফলে আয় ইনকাম কমে গেছে। আরেক চালক লিটন হোসেন বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে সড়কে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। এক টানা যাত্রী বহন না করতে পেরে সংসারের চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। সিএনজি চালক আক্তার হোসেন বলেন, অস্থির গরমের কারণে রাস্তাঘাটে যাত্রী কমেছে। আগে দৈনন্দিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়া পাওয়া যেতো। এখন ৩০০ টাকাও রোজগার হয় না। এতে করে ধারদেনায় সংসার চালাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, গরমের কারণে সম্প্রতি জ্বর-ডায়রিয়াসহ নানা রোগ বাড়ছে। এই ব্যাপারে মানুষদের সেবা দেওয়াসহ তাদেরকে সচেতন করা হচ্ছে।