শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে ঘুরছেন বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে চাঁদপুরের ৮ উপজেলা সহ দেশের ৪৯৫ টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারন চাঁদপুর জেলার ৭টি সহ সারাদেশে ৩২৩ পৌরসভার মেয়র অপসারণ ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত ২০ কচুয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটেছে সুন্দরবন -১৬ লঞ্চের, নারী নিখোঁজ ষোলঘর আদর্শ উবি’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডঃ হুমায়ূন কবির সুমন কচুয়ায় নবযোগদানকৃত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শিক্ষক সমিতি শুভেচ্ছা মতলব উত্তরে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা উপাদী উত্তর ইউনিয়নে দীপু চৌধুরীর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া

যেন দেখার কেউ নেই! মতলব উত্তরের মেঘনায় রাতের বেলায় অবাধে চলছে বালুবাহী বাল্কহেড

reporter / ১৩৮ ভিউ
আপডেট : রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার নদী পথের এক নীরব ঘাতক নৌ-যান বালুবাহী বাল্কহেড। দিনের বেলায় তো বটেই রাতের বেলায় আরো ভয়ানক হয়ে উঠে এগুলো। সন্ধ্যার পর নদী পথে বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় লাইট বন্ধ করে আস্তে আস্তে চালায় সুকানীরা। এসব বাল্কহেডের বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
নৌ পুলিশের হিসাবমতে, গত তিন বছরে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেপোরোয়া বালুবাহি ট্রলার চলাচলের কারন মেঘনা নদীতে প্রতিদিন পারাপার হওয়া হাজারো মানুষের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। কখন দূর্ঘটনা শিকার হয় এমন আতংকে থাকে নৌকা ও ট্রলারের যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মতলব উত্তরের মেঘনা নদীতে রাতেও চলাচল করছে বালুবাহী বাল্কহেডসহ মালবাহী কার্গো। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। বেপোরোয়া বালুবাহি বাল্কহেড চলাচলের পাশাপাশি মেঘনায় অবাধে চলছে ফিটনেস বিহীন নৌযান। স্যালো মেশিন দিয়ে তৈরি খোলা ইঞ্জিনের বিকট শব্দে নদী তীরের লোকজনের ঘুম ভাঙ্গে প্রতিদিন। এসব নৌযানের মধ্যে বালুবাহী ট্রলারের সংখ্যাই বেশি। ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকাগুলো ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। নদী পারের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চাইছে না।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন মোহনপুর, এখলাছপুর খেয়াঘাট দিয়ে ট্রলার ও নৌকায় করে হাজারো মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু বেপরোয়াভাবে কার্গো, বাল্কহেড চলাচলের কারণে আতঙ্ক নিয়ে আমাদের খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ খেয়া পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় আমরা বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে কোথাও যেতে পারি না।’
খেয়া পারাপারকারী নৌকার মাঝি বলেন, নৌ দুর্ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী বাল্কহেড। বাল্কহেড লোড হয়ে চলাচল করলে পানির সঙ্গে মিশে থাকায় এটাকে দেখা যায় না। এ ছাড়া বাল্কহেড দ্রæতগতিতে চলায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। বিশেষ করে রাতে বাল্কহেড চলাচল করলে দেখা যায় না।
বিআইডাবিøউটিএ অফিস সূত্রে জানাযায়, আইনেই আছে, রাতে বাল্কহেড ও মালবাহী কার্গো চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু মেঘনায় রাতের বেলায় এসব নৌযান চলাচল করছে, এটা সত্য। অধিক মুনাফার লোভে মালিকেরা রাতে শ্রমিকদের নৌযান চলাচলে বাধ্য করছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থাা নেওয়া প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ অহিদুজ্জামান বলেন, মেঘনায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে বালুবাহী বাল্কহেড। গত কয়েকদিন পূর্বে আমরা কয়েকটি বাল্কহেড আটক করেছি। আটককৃত বাল্কহেডের মালিক সন্ধ্যার পর চালাবেনা মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।


এই বিভাগের আরও খবর