শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে ঘুরছেন বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে চাঁদপুরের ৮ উপজেলা সহ দেশের ৪৯৫ টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারন চাঁদপুর জেলার ৭টি সহ সারাদেশে ৩২৩ পৌরসভার মেয়র অপসারণ ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত ২০ কচুয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটেছে সুন্দরবন -১৬ লঞ্চের, নারী নিখোঁজ ষোলঘর আদর্শ উবি’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডঃ হুমায়ূন কবির সুমন কচুয়ায় নবযোগদানকৃত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শিক্ষক সমিতি শুভেচ্ছা মতলব উত্তরে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা উপাদী উত্তর ইউনিয়নে দীপু চৌধুরীর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া

সন্তানদের উদ্ধার করতে এসে হাজিগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এক নারীর

reporter / ২৩০ ভিউ
আপডেট : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩

মজিবুর রহমান রনিঃ
নিজের সন্তানদের উদ্ধার করতে থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন কুয়েত প্রবাসী এক নারী।
বিষয়টি অবগত করতে আইজিপি কমপ্লোইন সেলে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী হোসনে আরা বেগম।
লিখিত অভিযোগে হোসনে আরা বেগম জানান, বিগত ২৬ বছর যাবত তিনি কুয়েত প্রবাসী। এরই মধ্যে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কূল গ্রামের তারা মিয়া পাটওয়ারী ওরফে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৫টি সন্তান রয়েছে।
কিছু দিন পূর্বে তার স্বামী জাহাঙ্গীর কিছু না জানিয়েই তার এক ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। পরে তিনিও তার অপর ৪ সন্তানকে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। দেশে আসার পর তার স্বামী তার সঙ্গে প্রতারণার ঘটনা ঘটালে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। গত ৪ মে তার দুই ছেলে আব্দুল আজিজ (২৩) ও ফাহাদ হোসেন (১৭) তার সৎ ভাই আল আমীন ওরফে রাজুর সাথে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যায়। পরে তাদের পিতা জাহাঙ্গীর তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় সে জানায় সন্তানদের নিতে হলে নগদ দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
তিনি আবেদনে আরও জানান, সন্তানদের তার পিতার কাছ থেকে উদ্ধার করতে তিনি গত ৫ মে হাজীগঞ্জ থানায় এসে ডিউটি অফিসার এএসআই সুজন কুমারকে বিষয়টি জানালে তিনি অভিযোগ দিতে বলেন। অভিযোগ দেয়ার পর তিনি ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। নজরুল ইসলামের রুমে এসে তাকে অভিযোগপত্রটি দিলে তিনি বলেন, ২০ হাজার টাকা দিতে হবে, তাহলেই তার সন্তানদের তিনি উদ্ধার করে দেবেন বলে জানায়। এতে তিনি বলে জানান এতো টাকা আমি কোথায় পাবো? আমার কাছে নেই বলতেই তিনি অশ্লীল কথা-বার্তা বলতে থাকেন এবং তার সাথে রাত্রিযাপন করতে বলেন।
এতে তিনি হতভম্ব হয়ে কান্না শুরু করলে নজরুল ইসলাম পুনরায় বলেন, তাহলে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে ডিউটি অফিসার এএসআই সুজন তার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় আলী আশ্রাফ নামের এক ব্যক্তিসহ আরো ৩/৪ জন ব্যক্তি ডিউটি অফিসারের সামনেই তাকে অশ্লীল কথা বলে। পরে নজরুল ইসলাম এসে তার সাথে দুর্ব্যবহার ও গালি-গালাজ করে এবং এসব কথা কাউকে জানাই তাহলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি প্রদান করেন। পরে তিনি থানা থেকে চলে আসতে বাধ্য হন।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত হাজীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নজরুল ইসলামকে উক্ত বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি বলেন এই ধরনের কোন অভিযোগ আমি পাইনি,উক্ত বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিবো না।


এই বিভাগের আরও খবর