শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জে আকাশচুম্বী বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহকের মাটিচাপা ভোগান্তি সালিশ মানে না, রায় মানে না। কারা চালায় এমন অদৃশ্য শাসন ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ আটক ৩ মতলব দক্ষিণে ভুট্টার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা মতলব দক্ষিণে ২ টাকার সিঙ্গারায় ভাগ্য পরিবর্তন ইয়াসিনের প্রেমের টানে ফরিদগঞ্জে মুসলিম মেয়ের বাড়িতে হিন্দু তরুণী ১৭ জন শিক্ষার্থীর স্বপ্নের সারথি হলে স্বপ্নের ফরিদগঞ্জ সংগঠন ফরিদগঞ্জ মানবসেবা ফাউন্ডেশন পথচারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ সম্পন্ন ফরিদগঞ্জে পৌর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এক্স  স্টুডেন্ট ক্লাব চাঁদপুরের  ইফতার ও দোয়া মাহফিল

হাজীগঞ্জে ড্রাগন ফল চাষে লাভবান হচ্ছেন ইব্রাহীম খলিল

reporter / ২৩৯ ভিউ
আপডেট : বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ড্রাগন ফল চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ৮নং পূর্ব হাটিলা ইউনিয়নের হড়িয়াইন গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম খলিল। কম খরচে লাভজনক হওয়ায় (উপসী জাত) চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষক ইব্রাহীম খলিল। এরই মধ্যেই গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। এক একটি ফুল যেন স্বপ্নের সোনালি হাসি ছড়াচ্ছে।  চারিদিকে সবুজ আর সবুজ গাছে সে এক অপরুপ দৃশ্য। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিয়াসু মানুষ ড্রাগন ফল ক্ষেত দেখতে আসছে। অনেকেই ফল গাছের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। এ ফল চাষে ব্যাপক সম্প্রসারণ সম্ভব বলে দাবি চাষী ইব্রাহীম খলিল। সরজমিন ঘুরে জানা যায়, গত বছর এই উপজেলাতে তারাই সর্বপ্রথম এই ফল চাষ করেছেন। আবহাওয়া ও মাটি উপযোগী হওয়ায় ড্রাগন ফল চাষে সাফল্য আসবে এমনটিও আশা তাঁর।
এ বিষয়ে চাষি ইব্রাহীম খলিল বলেন-প্রাথমিকভাবে নিজ উদ্যোগে ৮০ শতাংশ জমির উপর গত বছরই  চাষ শুরু করি এবং প্রাথমিক লক্ষ মাত্রার চাইতেও বেশী ফলন হয় ।এবং আশা করছি এবার ফলন আরো বাড়বে ।আমি আশা করবো অন্য চাষীলাও এ ড্রাগন ফল চাষে উদ্ভোধ্য হবেন আর এই ড্রাগন ফল চাষে খরচ একেবারই কম ,একটা গাছ একবার হলে ৩৫/৪০ বছর পযর্ন্ত ফল দিয়ে থাকে । আমি টাঙ্গাইল ঘাটাইল এলাকা থেকে এ ছারা সংগ্রহ করি আমার এলাকার কেই যদি চাষে আগ্রহী হয় তাহলে আমার কাছ থেকে এখন ছারা নিতে পারে কিউকে আর এত দূর থেকে ছারা সংগ্রহ করতে হবে না । এবং এ ফল বিক্রি করতেও কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না ভালো দামে নগদ টাকায় আড়ৎদাররা এ ফলে নিয়ে নেয় । আর তাছাড়া দেশের বাহিরেও এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক । কিভাবে এ চাষে উদ্ভোধ্য হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- আসলে আমি বহুদিন ধরে ভাবছিলাম এমন কিছু চাষাবাদ করবো যা অন্যদের চাইতে আলাদা তাই ইন্টানেট, ইউটিউভ ঘেটে ড্রাগন ফলের চাষ আমার ভালো লাগলো সে থেকে এ চাষ শুরু করি এখন আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আশা দেখতে পাচ্ছি ।অন্যান্য কৃষকরাও এ-চাষে এগিয়ে আসতে পারেন ।
এ চাষে উপজেলা কৃষি অধিদপ্ততর থেকে কোন পরামর্ষ বা সহযোগিতা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান- তেমন কোন সহযোগিতা পাই নাই তবে ওনারা একাদিক বার এসে পরিদর্শন করে গিয়েছেন কিন্তু কোন সহযোগিতা পাইনি ,আমার কোন পরামর্শের প্রয়োজন হলে জাদের কাছ তেকে ছারা এনেছি টেলিফোনে তাদের সহযোগিতা নেই । তবে কৃষি অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা পেরে হয়তো আরো ভালো করতে পারতাম ।
চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় সর্বমোট ১১ জন চাষি চাষ করছেন এই ড্রাগন ফল এবং সব চাইতে বড় পজেক্ট হলো হাজীগঞ্জের এটি ।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন – আমি এই এলাকায় নতুন এসেছি এই ড্রাগন ফলের প্রজেক্ট সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য নেই তবে এখন শুনেছি আমি অবশ্যই নিজেই যাব এই ফলের বাগান দেখতে ।


এই বিভাগের আরও খবর