শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের ৪ সদস্যদের পদত্যাগ ৬ নং কলাকান্দা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডে বেগম খালেদা জিয়ার ৮১ তম জন্ম বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল চাদপুর ২ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর পক্ষে হাতপাখার লিফলেট বিতরণ ফরিদগঞ্জে আকাশচুম্বী বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহকের মাটিচাপা ভোগান্তি সালিশ মানে না, রায় মানে না। কারা চালায় এমন অদৃশ্য শাসন ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ আটক ৩ মতলব দক্ষিণে ভুট্টার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা মতলব দক্ষিণে ২ টাকার সিঙ্গারায় ভাগ্য পরিবর্তন ইয়াসিনের প্রেমের টানে ফরিদগঞ্জে মুসলিম মেয়ের বাড়িতে হিন্দু তরুণী ১৭ জন শিক্ষার্থীর স্বপ্নের সারথি হলে স্বপ্নের ফরিদগঞ্জ সংগঠন

চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু শয্যায় সৌদি প্রবাসী রাজু পরিবারে দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা

reporter / ৯৪৩ ভিউ
আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

মতলব উত্তর প্রতিনিধিঃ
ছেলে মো. রাজু আহমেদকে কর্মসংস্থান ও রোজগারের জন্য পাঠিয়ে এখন দিশেহারা তার পিতা ও মাতা। চলতি বছরের গত ১১ মার্চ সৌদি আরবে পাড়ি জমান রাজু। ওই দেশে যাওয়ার পর ২ মাস ১৫ দিন কাজ করার পর সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে রাজু এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুই যেন তার একমাত্র পথ বলে জানান তারা পিতা ও মাতা।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ধনাগোদা গ্রামে রাজুর বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন রাজু আহমেদের মাতা সাজেদা বেগম। এসময় তিনি বলেন, আমার ছেলেকে রোজগারের জন্য পাঠিয়েছিলাম সৌদি আরবে। কিন্তু সে গত ৪ জুলাই এক্সিডেন্ট হয়ে পায়ের ও পিঠের হাড় ভেঙ্গে মারাত্মক জখম হয়। বর্তমানে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে মৃত্যু শয্যায় পড়ে আছে। আমরা ছেলেকে দেশে এনে চিকিৎসা করানো জন্য চেষ্টা করছি, কিন্তু কোন পথ পাচ্ছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন আমার ছেলেকে যোতে দেশে ফেরত এনে তাকে বাঁচতে সহায়তা করেন।
রাজুর পিতা আবুল হোসেন মৃধা বলেন, দূর্গাপুর গ্রামের বাসেদ মুন্সির ছেল টিটু মুন্সি একদিন আমাকে এসে বলে রাজুকে সৌদি পাঠিয়ে দিতাম। ওখানে ভাল কাজ দিবে এবং ভালো বেতন পাবে। তার কথায় রাজি হয়ে রাজুকে বিদেশে পাঠাই। কিন্তু ওখানে যাওয়ার আড়াই মাস পরেই রাজু সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে এখন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করছে। কোম্পানী তার ইমাকা না করে দেওয়ায় ওই দেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছে না। এমনি কোম্পানী বা ট্রাভেল এজেন্সীর কোন লোকও তাকে চিকিৎসা করায় না, খোঁজ খবরও নেয় না। বর্তমানে আমার ছেলে রাজু আহমেদ সৌদি আরবের রিয়াদে চিকিৎসার অভাবে ভূগছে। ভিসার দালাল টিটু ও ট্রাভেলের লোকজনের সাথে একাধিক বার কথা বলেও তারা কোন সমাধান করছে না। শুধু বলে কোম্পানী দেখবে। এমতবস্থায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী করছি আমার ছেলেকে যাতে দেশে এনে দেন।
রাজুর পিতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে সম্প্রতি জনশক্তি ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। পাশাপাশি রাজধানীর মতিঝিল থানায়ও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কেবিএস ইন্টারন্যাশনাল, আরএল নং ১১১৯, এর মিডিয়া এএসএম সায়েম ও টিটু মুন্সির মাধ্যমে রাজু আহমেদকে (পাসপোর্ট নম্বর বিপি ০৬৫১৬৩৮ সৌদি আরবে পাঠানো হয়। কিছুদিন পার সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে মারাত্মক জখম হয় এবং বর্তমানে চিকিৎসাহীনতায় ভূগছে রাজু। ওখানে তার চিকিৎসা এবং খাওয়া দাওয়ার করানোর মত কোন পরিচিত লোক নেই। এমনটি কোম্পানীর লোকও তার কোন খোঁজখবর নেয় না। ট্রাভেল্স ও মিডিয়াকে বার বার বলার পরও তারা কোন কর্নপাত করছে না। তাই সরকারের কাছে আবেদন যাতে রাজুকে দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন। বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ দিয়েও কোন পথ খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান। আদরের ছেলেকে চিকিৎসার অভাবে ভূগতে দেখে তাদেরও যেন নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ভিসার দালাল এই উপজেলার খালপাড় দূর্গাপুর গ্রামের বাসেদ মুন্সির ছেলে টিটু মুন্সির সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না। কিরন নামের এক লোক রাজুকে সৌদি পাঠিয়েছে। আমি শুধু যোগাযোগ করে দিছি।


এই বিভাগের আরও খবর