শিরোনাম:
১৭ জন শিক্ষার্থীর স্বপ্নের সারথি হলে স্বপ্নের ফরিদগঞ্জ সংগঠন ফরিদগঞ্জ মানবসেবা ফাউন্ডেশন পথচারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ সম্পন্ন ফরিদগঞ্জে পৌর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এক্স  স্টুডেন্ট ক্লাব চাঁদপুরের  ইফতার ও দোয়া মাহফিল ফরিদগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে নিজেই চালকের ভূমিকায় আহসান হাবীব মতলব দক্ষিণে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত  ফরিদগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন চাঁদপুর জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত চাঁদপুর -ফরিদগঞ্জ সড়কে বালুবাহী মিনি ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১ বর্ণিল আয়োজনে চাঁ.স.ক শিবিরের প্রকাশনা উৎসব

ফরিদগঞ্জের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ॥ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

admin / ৪৯১ ভিউ
আপডেট : বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১

পুরোপুরি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সোমবার গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ১৭ লাখ টাকায় ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা এবং পুড়ে যাওয়া কনক এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকির হোসেন ও অন্য দোকানের মালিক নবী উল্লাহ জানান, অন্য দিনের মতো তারা রাত সাড়ে দশটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। হঠাৎ রাত তিনটার দিকে শোনা যায় দোকানের দিকে কিসের যেন আওয়াজ হচ্ছে। পরে তারা ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তাদের দোকানে আগুন জ্বলছে। পরে তাদের ডাকচিৎকার ও পাশের মসজিদের মাইকে মানুষজনকে ডেকে এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে চাঁদপুরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে এবং এলাকার জনগণসহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে কনক এন্টারপ্রাইজ ও নবী উল্লাহর মুদি দোকানের সমস্ত কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নবী উল্লাহর চা ও মুদি দোকানের গ্যাসের চুলা থেকে প্রথমে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন দ্রুত পাশের জাকির হোসেনের কনক এন্টারপ্রাইজে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এমনটা হতে পারে।

এ বিষয়ে কনক এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ জাকির হোসেন মিয়াজী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার দোকানটি মূলত ভ্যারাইটি মালামালে পরিপূর্ণ ছিল এবং তিনি একজন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা। তিনি একজন বিকাশ, নগদ, মোবাইলের লোড, মুদি মালামাল হার্ডওয়্যার এবং বিভিন্ন ধরনের জুতাসহ আরো বিভিন্ন মালামালের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা। তার দোকানে সমস্ত মালামাল এবং নগদ ৯০ হাজার টাকা এবং দশটি মোবাইল সেট সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দাঁড়াবে বলে তিনি জানান।

তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, তার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। চাকরি শেষ হওয়ার পরে তার বাবার পেনশনের টাকা দিয়ে তিনি এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছেন।


এই বিভাগের আরও খবর