নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুর জেলায় শীতকালীন সবজি চারা উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চারা উৎপাদনে কৃষকদের প্রাথমিকভাবে বীজতলা তৈরীর কাজে মনোযোগী হতে হয়। পরবর্তীতে বীজতলার পরিচর্চা করতে করতে বিভিন্ন জাতের সবজি চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জাতের এসব চারা বিক্রি করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চাঁদপুরের চারা উৎপাদনকারী কৃষকরা বলেন, প্রতি বছর আগস্টের মাঝামাঝি বিভিন্ন জাতের চারা উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়। বীজ বোনা থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা বিক্রি করা হয়। প্রতি হাজার চারা ১হাজার থেকে ১৫শ’ টাকায় বিক্রি হয়। এক মৌসুমে এক একটি বীজতলায় ৪-৫ বার চারা উৎপাদন করা হয় । প্রতি মৌসুমে আড়াই থেকে তিন কোটি চারা উৎপাদন হয়ে থাকে। যা সাড়ে ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সবজি চারা উৎপাদন চাঁদপুর দেশের মধ্যে প্রসিদ্ধ। চাঁদপুর জেলায় অন্তত ৩০০ জন কৃষক শীতকালীন লাউ, কুমড়া, মরিচ, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, ব্রোকলি, সিম, চারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এ দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামের সবজি চারা উৎপাদনকারী মোঃ বিল্লাল হোসেন বেপারী জানান, আগস্টের মধ্যভাগে ৬০ শতক জমিতে তিনি ফুলকপি, বাধাকপি চারা চাষ করেন । এতে তার ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। সে চারা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। চাঁদপুর জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক জালাল উদ্দীন বলেন, এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে বেশিরভাগ বিভিন্ন জাতের সবজি চারা উৎপাদন করে থাকেন সদরের কৃষকরা। সবজি চারা উৎপাদন লাভজনক পেশা। কয়েকটি এলাকার কৃষক সবজি চারা উৎপাদনকে প্রধান পেশা হিসাবে নিয়েছেন। চারা উৎপাদনে জৈবসার ও খৈল ব্যবহার করা হয়। ফলে চারার গুণগত মান ভালো। এ ব্যপারে আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ সহ সার বিজ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছি।