বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।
জেলা প্রশাসক বক্তব্যে বলেন, এই মেলা আমরা খুব সুন্দরভাবে উদযাপন করবো। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারের এমন কোন দপ্তর নেই যে ডিজিটাল মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন না। সব দপ্তরই এখন ডিজিটালের আওতায় চলে এসেছে। আমরা বলেছি সবগুলো দপ্তরকে মেলাতে তাদের ডিজিটাল কার্যক্রম উপস্থাপন করতে। এরমাধ্যমে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে যে ডিজিটালের মাধ্যমে কি ধরণের সেবা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, একসময় ডিজিটাল বাংলাদেশ কথাটা নিয়ে অনেকেই কটুক্তি করতো, কিন্তু বর্তমানে তার কোন সুযোগ নেই। এখন দেশ অনেক এগিয়েছে।
মেলা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদ।
প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, সাবেক সভাপতি শহিদ পাটোয়ারী, শরিফ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন শান্ত, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি তালহা যোবায়ের প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুনসহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা এবং উদ্ভাবনী অলিম্পিয়াড উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আগামী ২০ ও ২১ নভেম্বর সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২ দিনব্যাপী ডিজিটাল মেলা এবং উদ্ভাবনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। এ ডিজিটাল মেলার উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধনী দিনে ২০ নভেম্বর সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করা হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ড. এম মেজবাহ উদ্দিন সরকার।
এছাড়া মেলায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপ, ডিজিটাল সেবা, হাতের মুঠোয় সেবা, শিক্ষা দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের উপর ৪টি প্যাভিলিয়নে ক্যাটাগরী ভিত্তিক ৭০টি স্টল স্থাপন করা হবে।