নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এনএসআই কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে হাফিজুর রহমান নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১এর সিপিসি ৩ এর সদস্যরা। গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত উপজলার পূর্বাচল উপশহরর সুলপিনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক হাফিজুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পশ্চিম পুরদেপুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। বর্তমান পূর্বাচল বাঘবের এলাকার জজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
ভুক্তভোগী বাচু মিয়া জানান, তিনি পূর্বাচল উপশহর হেলিপড এলাকায় চা দোকানের ব্যাবসায় জিবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। বেশ কিছুদিন প্রতারক হাফিজুর রহমান এনএসআইয়র কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তার দোকান এসে চা খেয়ে সময় কাটাতেন। গত ৮ অক্টোবর হাফিজুর রহমান তার দোকানে এসে জানান তার ছোট ছেলে রিফাতর নাম নারায়ণগঞ্জ গোয়েদা পুলিশের ডিবিতে মামলা হয়েছে। পরে ওই প্রতারক তাকে জানান ২৫ হাজার টাকা দিলে তার ছেলের নাম কাটিয়ে দেয়া যাবে। পর তিনি তার ছেলের নাম কাটার জন্য ওই প্রতারককে ১৫ হাজার টাকা দেন। টাকা নেয়ার পর থেকে তাকে আর দোকানের আশেপাশে দেখা যায়নি। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশর ডিবির অফিস যোগাযাগ করলে জানতে পারেন তার ছেলের নামে কোন মামলা হয়নি। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয় রপগঞ্জ থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন।
এ বিষয় রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, বাচ্চু মিয়া নামের একজন ভুক্তভাগী একটি মামলা করেন এরপর থেকে তাকে গত ১৮ নম্বর সকাল নুর হাসান নামের আরও একজন নিজেকে এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয় দেয় বলে জানায়। তার নামে ঢাকা ডিবি পুলিশ অফিস মামলা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে ক্রস ফায়ার দিবে বলে ভয় দেখায়। পরে প্রতারক হাফিজুর রহমান নুর হাসানকে জানায় ৭০ হাজার টাকা দিল ওই মামলা থেকে নাম কেটে দেয়া যাব। রাতের ভিতর টাকা বিকাশ করার কথা বলে চলে যায়। পরে রাতে দাবিকৃত ৭০ হাজার টাকা নিতে ফের নুর হোসেনের বাসায় আসে প্রতারক হাফিজুর রহমান। নুর হোসেন বিষয়টি র্যাবকে জানালে ঘটনাস্থল থেকেই ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।