কামরুল হাসান রাব্বী :
মেঘনা নদীতে ডাকাতিকালে নৌপুলিশ ও ডাকাত দলের সাথে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
এতে ৪ ডাকাত আহত ও ১ জনকে আটক করেছে মোহনপুর নৌপুলিশ। এসময় অর্ধ কোটি টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে, অভিযোগ ব্যাবসায়ীদের।
জানা যায়, ২৭ জুন সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের চিতলমারী এলাকা থেকে ট্রলার যোগে ৫০/৬০ জন গরু ব্যবসায়ী শহরমালী গরু বাজারে যাওয়ার পথে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের সীমান্তবর্তী মুন্সিগঞ্জের সদর থানাধীন বাংলা বাজার খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীর মোহনায় এলে স্প্রিড বোর্ড নিয়ে ডাকাতদল ব্যাবসায়ীদের উপর আক্রমন করে।
মোহনপুর নৌপুলিশ টহল দেওয়া অবস্থায় এদৃশ্য দেখে ডাকাতদের ধাওয়া করে। ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ করে গুলি করলে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এসময় ৪জন ডাকাত আহত হয়।
আহতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকার ইসমাইল(৩০), সলেমান(৪৫), খোরশেদ মাঝি(৩৪), সবুজ বেপারী(২৩)। ডাকাত সবুজ বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ডাকাতরা স্পীডবোর্ড যোগে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ডাকাতির শিকার মুন্সিগঞ্জের তাতি কান্দি গ্রামের গরু ব্যাবসায়ী আয়নাল হক জানান,আমরা ট্রলার যোগে শহরমালী যাওয়ার পথে স্প্রিডবোর্ড নিয়ে নৌডাকাত সরদার বাবলারসহ ১৫ জন ডাকাত আমাদের আক্রমণ করে।
চিতলিয়া গ্রামের জুয়েল ফকির বলেন, আমার কাছ থেকে ডাকাতদল ৬৫ হাজার ৪’শ ৬৫ টাকা ও ১ টি স্বর্নের চেইন নিয়ে গেছে। তাতিকান্দির গ্রামের গরু ব্যাবসায়ী শাহজাহান বলেন, আমার কাছ থেকে ডাকাতদল ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪’শ ৯০ টাকা ও ১ টি মোবাইল নিয়ে গেছে।সৈকত চর আব্দুল্লাপুর গ্রামের সৈকত বলেন, আমার কাছ থেকে ৭৪ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। সব মিলে প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
এ বিষয়ে মোহনপুর নৌপুলিশের এসআই বাবুল বলেল, টহলরত অবস্থায় ডাকাতি দেখে ডাকাতদের ধরতে গেলে তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমরা পাল্টা গুলি করি। এসময় ১ জন ডাকাতকে আটক করি। বাকীরা স্প্রিডবোর্ড নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা নৌপুলিশের এএসপি সার্কেল তোফাজ্জেল ও ,মুন্সিগঞ্জের এডিশনাল এসপি তানভীর ঘটনাস্থল পরিদর্শ করে দেখেন ডাকাতির ঘটনাস্থল মুন্সিগন্জের চর আব্দুল্লাপুর।
তাই আইন অনুযায়ী চর আব্দুল্লাপুর ফাড়ি থানায় একটি ডাকাতি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গ্রেফতারকৃত ডাকাত সবুজ বেপারিকে চর আব্দুল্লাপুর ফাড়ি থানায় প্রেরন করা হয়েছে।