গতকাল (৩ সেপ্টেম্বর) রোববার রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গেলে এ যাত্রী দূর্ভোগ দেখা যায়।
চট্টগ্রামগামী যাত্রী আসাদুজ্জামান সাকিব বলেন, প্রতিদিন চাঁদপুর থেকে রাত ১০ টায় এবং রাত সাড়ে ১১ টায় বরিশালগামী ২টি লঞ্চ চলাচল করতো। হঠাৎ করেই গেলো ২ সপ্তাহ যাবৎ লঞ্চগুলো বন্ধ। এতে করে আমরা যারা ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর নেমে লঞ্চযোগে বরিশাল যাচ্ছি। আমরা সকলেই ভোগান্তিময় বিড়ম্বনায় রয়েছি।
চাঁদপুর লঞ্চঘাট সূত্র মতে, চাঁদপুর হতে পূবালী-১ এবং রাজহংস-৮ নামের এই দুটি লঞ্চ বরিশাল বরগুনা যেতো। এছাড়াও অনিয়মিতভাবে সুন্দরবন-১২ লঞ্চটি রাত সাড়ে ১১ টার পর ঢাকা থেকে চাঁদপুর ঘাট ভীরে এরপর বরিশালের উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যেতো। কিন্তু সেটি এখন করা হচ্ছেনা। এমনকি গেলো ৩১ আগস্ট হতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পূবালী-১ এবং রাজহংস-৮ লঞ্চ দু’টিও এখন চাঁদপুর ঘাটে ভীড়ছে না। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগের যেনো কোনো শেষ নেই।
সাদিয়া নামের এক নারী যাত্রী জানান, সরাসরি লঞ্চ না থাকায় আমাদের এখন চাঁদপুর থেকে বরিশাল ৩শ’ টাকার ভাড়া হলেও তা বর্তমানে ৩ গুন বেশি গুনতে হচ্ছে। যার কারনে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও সময় নষ্ট এবং বাচ্চা কাচ্চা ও অসুস্থ্য বৃদ্ধাদের নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছি। কেননা এখন আমাদের রাত সাড়ে ১০ টায় হুলারহাট-ভান্ডারিয়া লঞ্চে করে বানরিপাড়া বা শিকারপুর নেমে সেখান হতে বাসে করে বরিশাল যেতে হয়। অথবা রাত ১২ টার পর মীরগঞ্জ লঞ্চে করে মীরগঞ্জ নেমে সেখান হতে বাসে করে বরিশাল যেতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের টিআই মোঃ শাহ আলম, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুর হয়ে ভোলা-লালমোহন-ঘোষেরহাট গামী ১টি লঞ্চ চললেও তা বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া আমরা বরিশালগামী লঞ্চগুলোর মালিকদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা আমাদের কথা শুনেনি। তবুও আমাদের পক্ষ থেকে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে তাদের ভোগান্তি কমাতে মাইক্রোফোনে ঘোষণা দিয়ে বার বার কিভাবে বরিশাল যেতে হয় তা অবগত করার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে চাঁদপুর রকেটঘাট থেমে রাত সাড়ে ১০ টার পর বরিশাল হয়ে খুলনার উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যাওয়া রকেট ষ্টিমারটি গেলো দেড় বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে।