আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে
— মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাদের পচ্ছন্দ নয়, এমন কিছু ব্যাক্তি বা গোষ্ঠি দেশ বিদেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপ্রচার চালাচ্ছে। তবে যতই ষড়যন্ত্র ও অপ্রচারই হোক অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এবারও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও বলেন, সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিবে কি নিবে না সেটা তাদের ব্যাপার।
বাহাদুরপুরে শহীদ মোবারক হোসেন বাবু’র হত্যাকরীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,
যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বাবু’র হত্যার সাথে যারা জড়িত, তারা যতই চেষ্টা করুক খুনিদের রক্ষা করতে পারবে না। প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পলাতক খুনিদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ বিচার করতে হবে । আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না শুধু প্রশাসন কে তথ্য দিন খুনিরা পালিয়ে থাকতে পারবে না। খুনিরা যত বড় শক্তিই হোক বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। পলাতক প্রধান আসামী কাজী মিজান কে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, কত বড় খুনি আর রাজাকার হলে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশের মিছিলে গুলিবর্ষণ করে মানুষ হত্যা করতে পারে।
মায়া বীর বিক্রম বলেন, মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে আপনারা সোচ্চার ছিলেন বিধায় বালুখেকোরা বারবার গুলিবর্ষণ করে যাচ্ছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। শহীদ বাবু হত্যার শোক কে শক্তিতে পরিনত করে অপশক্তির বিরুদ্ধে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
মতলব উত্তরের বাহাদুরপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা শহীদ মোবারক হোসেন বাবু’র স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) বুধবার বিকালে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বাবু’র স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।
মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই প্রধানের সভাপতিত্বে ও মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদারের সন্ঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী ইলিয়াসুর রহমান, নিহত বাবুর ভাই আমির হোসেন কালু, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আশফাক চৌধুরী মাহি, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সদস্য রাধেশ্যাম সাহা চান্দু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সদস্য আহসান উল্লাহ হাসান, মতলব উত্তর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোবাহান সরকার শুভা, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভীন শরীফ, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট সেলিম মিয়া, দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান আবুল খায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ।
এসময় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ও প্রায় অর্ধ শতাধিক ট্রলার যোগে এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হোন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন তারিখে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনা কে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সমাবেশে যাওয়ার পথে বাহাদুরপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বাবু সহ ৫ জুন নেতাকর্মী কাজী মিজানের সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবু’ কে মৃত ঘোষণা করেন। ঐদিন রাতেই গুলিতে নিহত বাবুর ভাই আমির হোসেন কালু কাজী মিজান কে প্রধান আসামী করে মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।